আজ মঙ্গলবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- কার সঙ্গে কথা বলব, কার সঙ্গে সংলাপ করব। এটার রেজাল্ট কী? আমাদেরও প্রশ্ন একটাই, রেজাল্ট কী? আজকের এই প্রধানমন্ত্রী, তিনি যেভাবেই ক্ষমতায় আসুক, তিনি সবার সামনে ওয়াদা করেছেন নির্বাচনে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না, পুলিশ আর গ্রেপ্তার করবে না, কোনো মামলা দেবে না। নির্বাচন পর্যন্ত কোনো পুলিশি হয়রানি করা হবে না। তার তিন দিন পরেই পুলিশি নির্যাতনে সারা দেশের বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা ঘর-বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে। ঘরে ও রাস্তায় থাকতে পারেনি।
তিনি আরো বলেন, তারপর তিনি কী করে আশা করেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারে থাকবেন আর রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে? আজকে শুধু বিএনপি নয়, সব রাজনৈতিক দল বলছে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। এমনকি সিপিবিও বলেছে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
তিনি বলেন, গত ১১ মার্চ বিএনপি ঘোষিত দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় কয়েকটি জেলায় আকস্মিক ন্যক্কারজনক হামলা চালায়, মৌলভীবাজারে মানববন্ধন কর্মসূচির শুরুতেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুলিশের মদদে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। হামলায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় নেতা নাছের রহমানসহ প্রায় ২৫ জন গুরুতর আহত হন। নাছের রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিনা কারণে এ হামলা ন্যক্কারজনক। সভায় এ হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপিরে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন উপস্থিত ছিলেন।