ঘটনাটি ঘটে চট্টগ্রাম বন্দরের নিজস্ব সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ড; যেটি চট্টগ্রাম ড্রাইডকের আগে সড়কের পশ্চিম পাশে অবস্থিত।
ঘটনার পর আসামিদের ধরতে যখন বন্দর কর্তৃপক্ষ বাদি হয়ে ইপিজেড থানায় একটি মামলা করে এরপরই বিষয়টি প্রকাশ পায়। এর আগ পর্যন্ত গোপন রেখেছিল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পাচার হয়ে যাওয়া কন্টেইনারগুলোর মধ্যে ছিল আমদানি করা এক কন্টেইনার প্লাস্টিক দানা। আমদানিকৃত কাপড়। সব পণ্যের দাম অর্ধ কোটি টাকার মতো।
এই ঘটনায় চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের এএসআই মো. মারুফ হোসেন বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামি করে ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আট আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
জানতে চাইলে বাদি এএসআই মো. মারুফ হোসেন বলেন, আমার ডিউটি ছিল সকাল ৮টায় কিন্তু পৌঁছাতে আধা ঘণ্টা দেরি হয়। ঠিক ওই সময়েই ঘটনাটি ঘটে। পরে বন্দরের নিরাপত্তা গোয়েন্দা মিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি দুটি কন্টেইনার বের হয়ে গেছে। একটি কন্টেইনার বের হচ্ছিল। পরে সেটি থামাই।
তিনি বলেন, এই ঘটনায় ৯ জন আসামিসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করি। মামলায় এখন পর্যন্ত বন্দরের একজন নিরাপত্তা কর্মী, একজন পরিবহন বিভাগের কর্মী এবং দুজন দায়িত্বরত আনসার সদস্য এবং বাকি চারজন গাড়ির চালক ও হেলপার আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম ইপিজেড থানার অধীন চট্টগ্রাম ড্রাইডকের আগে বন্দরের নিজস্ব সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ডে এই চুরির ঘটনাটি ঘটে। এই ইয়ার্ডে মূলত বন্দরের অকশন কন্টেইনার রাখা হয়। অকশনযোগ্য সব পণ্য বন্দরের মূল ইয়ার্ড থেকে বের করে সেখানে রাখা হয়। অকশন শেষে সেখান থেকে ডেলিভারি দেওয়া হয়। গত ৯ মার্চ সকালে এই ঘটনা ঘটে।
জানতে চাইলে ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, মূলত বন্দরের কর্মী, গাড়ি চালকদের যোগসাজশে এই কাজটি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে। কারণ সংরক্ষিত এলাকায় অনুমোদিত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কারো প্রবেশের সুযোগ নেই। তদন্তে আরো অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং কন্টেইনার দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আটজনের মধ্যে একজন বন্দর নিরাপত্তা কর্মী, একজন পরিবহন বিভাগের কর্মী, দুজন আনসার সদস্য এবং বাকি চারজন গাড়িচালক ও হেলপার।