ঢাকাশনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রতিবন্ধী কোটায় ট্রান্সজেন্ডারদের ভর্তির সুযোগ দিচ্ছে ঢাবি !

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩ ১০:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আলাদা কোটাতে নয় বরং ‘ট্রান্সজেন্ডার’রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন প্রতিবন্ধী কোটায়। এর আগে গত ১২ জানুয়ারি ভর্তি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্তে অন্যান্য কোটার সাথে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ কোটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ কোটা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

আজ সোমবার ঢাবির ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন শুরু হলে দেখা যায় ‘ট্রান্সজেন্ডার-হিজড়া’ এর জন্য আলাদা কোনো কোটা নেই বরং তাদের জন্য প্রতিবন্ধী (ট্রান্সজেন্ডার-হিজড়া) একটি অপশন রয়েছে আবেদনের প্রযোজ্য কোটার ক্ষেত্রে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি হওয়া ভর্তি কমিটির সভার সিদ্ধান্তে এই ট্রান্সজেন্ডার-হিজড়াকে প্রতিবন্ধী কোটার মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে। আর ঢাবির ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেও ট্রান্সজেন্ডার-হিজড়াকে ‘কোটায় ভর্তি’ সেকশনের প্রতিবন্ধী কোটায় রাখা হয়েছে।

সেখানে লেখা রয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীর ওয়ার্ড কোটা (কেবল ছেলে/মেয়ে/স্বামী/স্ত্রী), উপজাতি/ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, হরিজন ও দলিত সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী (দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, শারীরিক, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস, ট্রান্সজেন্ডার /হিজড়া), মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/মুক্তিযোদ্ধার নাতি/নাতনীসহ, খেলোয়াড় (শুধুমাত্র বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীদের) কোটায় ভর্তি প্রার্থীদেরকে সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের ৭ (সাত) দিনের মধ্যে ওই ইউনিটের ডিন অফিস থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রদর্শন পূর্বক নির্ধারিত ফরম সংগ্রহ করতে হবে। কোটার নির্ধারিত ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে যে কোটায় ভর্তি হতে ইচ্ছুক তার প্রত্যয়নপত্র/ সনদপত্র/ প্রমাণপত্রসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের অফিসে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে হবে।

বিজ্ঞপ্তির কোটায় ভর্তি সেকশনে আরো উল্লেখ আছে, ‘(ঘ) প্রতিবন্ধী কোটার (দৃষ্টি, বাক, শ্রবণ, শারীরিক ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস, ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়া) ক্ষেত্রে সঠিকতার সনদপত্রসহ’। অর্থাৎ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ট্রান্সজেন্ডার/হিজড়াদের সঠিকতার সনদপত্রসহ কোটার নির্ধারিত ফরম যথাযথভাবে পূরণ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানের অফিসে অফিস চলাকালীন সময়ে জমা দিতে হবে।

এ বিষয়ে ঢাবি অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘যদি ভর্তি পরীক্ষাতে কাওকে পাওয়া যায় হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার তাহলে তাদের এই প্রতিবন্ধী কোটা থেকে আসন দেওয়া হবে। বোর্ড থেকে আমরা যে ইনফরমেশন পেয়েছি তার মধ্যে শুধু Male এবং Female আছে। হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার বলে কোনো জেন্ডার নেই। যার ফলে এই পরিচয়ে কেউ আসবে কিনা এটার নিশ্চয়তা নেই। যদি কাওকে পাওয়া যায় বা কেও আবেদন করে তখন এটির জন্য তো আলাদা করে কোটা দেওয়া সম্ভব না। যার জন্য এটাকে আপাতত প্রতিবন্ধী কোটার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটি যেহেতু স্বাস্থ্য বিষয়ক ইস্যু সেজন্য এটাকে ওভাবেই হিসাব করা হয়েছে। কারণ বাকি কোটা গুলো হরিজন, উপজাতি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, খেলোয়াড় কোটার মধ্যে পরে না। যেহেতু একটা কোটাতে আমরা মাঝেমধ্যে দেখি যে কিছু আসন খালি থাকে সেটা হলো প্রতিবন্ধী কোটা। সেজন্য হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডারকে এটার সাথে এড করে রাখা আছে।’