ঢাকাশনিবার, ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় : জেফরি ম্যাকডোনাল্ড

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩ ১০:২২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জেফরি ম্যাকডোনাল্ডও মনে করেন, বাংলাদেশ নিয়ে সমালোচনার কেন্দ্রে আছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। এ ছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। বাড়ছে মূল্যস্ফীতি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগামী নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলছে। তবে ওই নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
বিভিন্ন পশ্চিমা দূতাবাস, এমনকি জাপান দূতাবাসও এখন বাংলাদেশের সমালোচনা করে। জেফরি ম্যাকডোনাল্ড বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার সমালোচনা করতে চায় না। গণতন্ত্র সম্মেলনের বিরোধিতা করে ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস নিবন্ধ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া অন্য দেশের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে, অথচ নিজেই হস্তক্ষেপ করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘পাকিস্তানপন্থী’, ‘ইসলামপন্থী’ তকমা আছে। ভারতের বিজেপি সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সম্প্রতি বলেছেন, ভারত শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে। তিনি তাঁর বাবার মতো দেশ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেফরি ম্যাকডোনাল্ড আরো বলেন, বাংলাদেশে বলা হয়ে থাকে যে শেখ হাসিনার সরকারের পেছনে ভারতের সমর্থন আছে। ভারত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়।জেফরি ম্যাকডোনাল্ড মনে করেন, বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে ভারত উভয় সংকটে পড়েছে। কারণ এই সমর্থনের জন্য বাংলাদেশে ভারতবিরোধিতা বাড়ছে। বাংলাদেশে চীনের ভূমিকা প্রসঙ্গে জেফরি বলেন, চীন সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছে।হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এশিয়া সেন্টারের ফেলো আনু আনোয়ার বলেন, অনেকেরই ধারণা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভারতকে অনেক দিচ্ছে। জনগণ মনে করে, বাংলাদেশ সরকারকে ক্ষমতায় থাকতে হলে ভারতের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, দুটি বিতর্কিত নির্বাচনের পর পশ্চিমা জোট অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চাপ দিচ্ছে। অন্যদিকে সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে ভারত।আনু আনোয়ার বলেন, ভারতের সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় ত্বরান্বিত হয়েছে। তবে স্বাধীনতার পর ভারতের ব্যাপারে বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। বাংলাদেশ ভারতের জন্য বড় বাজার। বাংলাদেশ ভারতের চতুর্থ শীর্ষ রেমিট্যান্সের উৎস। তবে এখনো দুই দেশের মধ্যে পানি সমস্যা ও সীমান্ত হত্যার মতো অনেক ইস্যুর সুরাহা হয়নি।