ঢাকাশনিবার, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জনগণের পকেট কাটতে এবং লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই সরকার আবারও গ্যাসের মূল্য বাড়িয়েছে : গণসংহতি আন্দোলন

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ ১০:০৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

অবিলম্বে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। তাদের ভাষ্য, জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার একমাত্র বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) হাতেই থাকতে হবে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা চলবে না।

আজ বুধবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, জনগণের পকেট কাটতে এবং লুটপাটের টাকা জোগান দিতেই সরকার আবারও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। জনগণের কথা, দেশের কথা বিবেচনায় না নিয়ে কয়েক দিন আগে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণাও দিয়েছে। বিইআরসিকে গণশুনানির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে গ্যাস–বিদ্যুৎসহ জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার দিলেও সেটাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

সরকার প্রতি মাসে যখন খুশি তখন দাম বাড়ানো নিরঙ্কুশ করতেই মন্ত্রণালয়ের হাতে এই ক্ষমতা নিয়ে নেয় উল্লেখ করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সরাসরি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক গ্যাস-বিদ্যুৎসহ জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এই প্রক্রিয়া চরম অগণতান্ত্রিক এবং বাস্তবে এটা আইনি প্রক্রিয়ায় লুটপাটের একটা রাস্তামাত্র। দেশে বিদ্যুতের প্রায় ৫০ শতাংশ উৎপাদিত হয় গ্যাসের মাধ্যমে। সুতরাং গ্যাসের দাম বাড়লে আবারও বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়বে।

বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, সরকার একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে পারছে। কারণ, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, জবাবদিহি নেই। শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর অর্থ হচ্ছে দেশের অর্থনীতি আরও ভয়াবহতার মুখে ঠেলে দেওয়া।

ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, মাঝারি শিল্প এবং বৃহৎ শিল্প সবখানে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম তিন গুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, একদিকে সরকার জনগণের সব অধিকার হরণ করে চলেছে। অন্যদিকে গ্যাস-বিদ্যুৎ-তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। জনগণের টাকায় গড়ে তোলা রাষ্ট্রীয় কোষাগার উজাড় করে সেই টাকা বিদেশে পাচার করছে সরকারের ঘনিষ্ঠজনেরা। এ রকম জবরদস্তি ও জবাবদিহি ছাড়া একটি দেশ চলতে পারে না। দেশ বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণ–আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।