বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি ঘুমধুমের সীমান্তের শূণ্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়ার শূণ্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি বর্ষণ হয়। তবে কেন এই গুলিবর্ষণ সে ব্যাপারেও জানা যায়নি।
তথ্যটি ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ। তিনি মুঠোফোনে বলেন, সকালে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যরা ক্যাম্পে অবস্থান নিলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) নামের আরও একটি সশস্ত্র সংগঠন। এতে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়। এবং ঘটনাস্থলে তিন জন নিহত হয় খবর শুনেছি। তবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় ভয়ে আতংকিত হয়ে নোম্যান্সল্যান্ডের কাটা তারের বেড়া এলাকায় অবস্থান নিয়েছে অনেকেই। গোলাগুলির ঘটনায় পর জীবন বাঁচাতে যে যেদিকে পারে ছোটাছুটি করে জীবন বাঁচাতে পালাতে থাকে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যরা কৌশলে অবস্থান নেয় বান্দরবান-মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ২ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী এলাকার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এসময় মিয়ানমারের অন্য একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি (আরসা) গুলি চালালে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
ঘুমধুম ইউপি সদস্য ভুট্টো জানান, সকালে নোম্যান্সল্যান্ড এলাকা থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শুনা গেছে। তবে হতাহতের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছেনা। এ ঘটনা পর থেকে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক বেড়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, সকাল থেকে অব্যাহত গোলাগুলির শব্দ শুনা যাচ্ছে। সেখানে কী হচ্ছে সেটি এখনো বলা যাচ্ছে না।এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের বরাতের মাধ্যমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ির নোম্যান্সল্যান্ড এলাকায় আরএসও ও আরসার মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে গোলাগুলির ঘটনায় ১ জন নিহত ও আহতের খবর শুনেছি। নোম্যান্সল্যান্ড এলাকাটি আন্তর্জাতিক সীমারেখা হওয়ায় সেখানে সিভিল প্রশাসনের ভুমিকা তেমন থাকে না। তবে নিরাপত্তায় বিজিবি ও র্যাব জোরালো ভুমিকা পালন করছেন। এছাড়া নোম্যান্সল্যান্ডের এই বিচ্ছিন্ন ঘটনায় দেশের অভ্যন্তরে বসবাসকারীদের উপর কোন প্রভাব পড়বে না। তারপরও সীমান্তের উদ্ভূদ পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং প্রশাসন এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।