আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং দলের জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে জাতীয় সংসদের উপনেতা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এর আগে ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের ষষ্ঠ সভায় তাকে উপনেতা করার বিষয়টি উত্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এতে সমর্থন করেন আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সেক্রেটারি ও জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন।
এরপরই সংসদ উপনেতা হিসেবে মনোনীত হন মতিয়া চৌধুরী। একাদশ জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মারা যাওয়ায় তার স্থলাভিষিক্ত হলেন মতিয়া চৌধুরী।
সংসদের বিধান মতে সংসদ উপনেতা পদের জন্য কোনো ভোটাভুটি দরকার হয় না। সংসদ নেতা তার মতটি স্পিকারকে জানালে, সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেন স্পিকার। সংসদীয় দলের সদস্যদের মত নিয়ে সংসদ নেতা যে নামটি প্রস্তাব করেন, স্পিকার সেটি রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠান। এই পদের জন্য কোনো শপথ নেওয়ার দরকার হয় না। তবে সংসদ উপনেতা মন্ত্রীর পদমর্যাদা ও সুবিধা পেয়ে থাকেন।
সংসদীয় আইন অনুযায়ী সংসদ উপনেতা নিয়োগে বাধ্যবাধকতা নেই। বিএনপি তাদের সময়ে এ পদে কাউকে মনোনীত করেনি। তবে আওয়ামী লীগ বরাবরই তাদের সিনিয়র কোনো নেতাকে দিয়ে এ পদটি অলঙ্কৃত করে আসছে।
২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রথমে জিল্লুর রহমানকে সংসদ উপনেতা নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ। তিনি ৯৬ আমলেও দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি শপথ নেন রাষ্ট্রপতি হিসেবে। সে বছরেই ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদ উপনেতা হন সাজেদা চৌধুরী। টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় তিনি ছিলেন সংসদ উপনেতা। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী গত ১১ সেপ্টেম্বর মারা যান।