ঢাকাবুধবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও বিএনপি নেতারা যা বললেন

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ১৬, ২০২৩ ১০:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সোমবার চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ি এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে( বিএনপি)র নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ৫ পুলিশসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।

 

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ১০ দফা দাবি আদায়ে সোমবার নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল বিএনপি।

 

সংঘর্ষের ব্যাপারে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ব্যবস্থা করলেও বিএনপির লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালালে ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়।

 

সংঘর্ষের সময় বিএনপি কর্মীরা পুলিশের একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং এলাকার বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর করে বলেও জানান তিনি।

 

পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।

 

এ পর্যন্ত ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

সংঘর্ষের ব্যাপারে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “মাফিয়া সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজকের কর্মসূচিও ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ । শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে পুলিশ বিএনপি নেতা -কর্মী ও সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে । মামলা- হামলা নির্যাতন করে মাফিয়া সরকারের শেষ পরিণতি বন্ধ করা যাবে না ।”

 

মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেন , “সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে আজকের আমাদের এই কর্মসূচিতে হামলা করে এই অবৈধ সরকার প্রমাণ করেছে তারা “এক নেতার এক দেশ” বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগ সবসময় সংবিধানের দোহাই দেয় অথচ সংবিধানে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে যৌক্তিক দাবিতে সভা-সমাবেশ করা সাংবিধানিক অধিকার । কিন্তু তারা সংবিধানের তোয়াক্কা না করে বাকশালী স্টাইলে পুলিশকে দিয়ে আমাদের শান্তিপ্রিয় ও নিরীহ নেতা-কর্মীদের উপর ব্যাপক লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ এর মত ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়ে মানবাধিকার লংঘন করেছে”।

 

কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা গেছে, “সংঘর্ষের ঘটনাই মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে”