আগের নিয়ম কানুন বদলে নতুন নিয়মে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ পদ্ধতিতে এক মাসের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রাহকের ঘরে পৌঁছে দেবে বিআরটিএ। এই কার্যক্রম আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে চালু হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) আয়োজিত ‘বিআরটিএ’র ডিজিটাল সেবা প্রদান সংক্রান্ত মতবিনিময় এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২ অবহিতকরণ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী।
জানা গেছে, বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালের (বিএসপি) মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’ কপি প্রিন্ট করা যায়। এটি দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার দিনই বায়োমেট্রিক্স নেওয়া হবে। পরীক্ষার ফলাফল ওই দিনই বিআরটিএ-আইএস সিস্টেমে এন্ট্রি হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার দিনই ফলাফল বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালের (bsp.brta.gov.bd) মাধ্যমে দেখতে পাবেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রযোজ্য ফিস জমা দিলে তাদের স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ডাকযোগে গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে দেওয়া হবে। এ জন্য আজই ডাক বিভাগের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। প্রতিষ্ঠান দুটির পক্ষ থেকে সমঝতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বিআরটিএর পরিচালক (অপারেশন) মো. লোকমান হোসেন মোল্লা এবং ডাক অধিদপ্তরের পরিচালক (মেইলস) এস এম হারুনুর রশীদ।এর আগে সড়ক সচিব আমিন উল্লাহ নূরী বলেন, লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে। তারপর গ্রাহকের ঠিকানায় ডাক বিভাগের মাধ্যমে এক মাসের মধ্যে লাইসেন্স পৌঁছে দেবে বিআরটিএ। এর জন্যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা। এর মধ্যে ৪৫ টাকা ডাকা বিভাগের চার্জ এবং বাকি টাকা এসএমএসসহ অন্যান্য চার্জ।
তিনি আরও বলেন, কেউ যদি দালালের নম্বর দেয় তবে সে লাইসেন্স পাবে না। গ্রাহক নিজ নিজ নম্বর ব্যবহার করবেন। কারণ, লাইসেন্সের একটি ডিজিটাল কপি গ্রাহকের মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখানে একটি বারকোড থাকবে। যেটি দেখে লাইসেন্স কার্ড পাওয়ার আগ পর্যন্ত পুলিশ শনাক্ত করতে পারবে।
সচিব জানান, শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্সের মেয়াদ তিন মাস থেকে বাড়িয়ে ছয় মাস করা হয়েছে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্সে ১২টি পয়েন্ট থাকে। গ্রাহক অপরাধ করলে একটি করে পয়েন্ট কাটা যাবে। ১২টি পয়েন্ট কাটা পড়লে সেই ড্রাইভিং লাইসেন্স পুরোপুরি বাতিল হবে। তিনি আর কখনোই ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ইউসুফ আলী মোল্লা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভিন প্রমুখ।