ঢাকাশনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কর্তৃত্ববাদের বিশ্বে গনতন্ত্রের ভবিষ্যৎঃ মো:নিজাম উদ্দিন 

মোঃ নিজাম উদ্দিন | রাজনৈতিক বিশ্লেষক
জানুয়ারি ১৩, ২০২৩ ৫:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এক.

গণতন্ত্রের যুগ কি শেষ হয়ে গেল?এই প্রশ্ন আজ সর্বত্র।লিবারেল ডেমোক্রেসি হিসাবে সারা দুনিয়া যেসব রাষ্ট্রগুলোকে চিনতো বিগত একযুগে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মৌলিক অবস্থানের হঠাৎ পরিবর্তন অনেক রাষ্ট্র চিন্তকদের মনেও অনেক বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে?সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর সমাজতন্ত্রের পথ ছেড়ে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি টেনে লিবারেল ডেমোক্রেসির স্বপ্নের পথে হাটা রাশিয়া আবার কেন রাষ্ট্রীয় কট্টর পন্হার দিকেই ঝেকে বসছে?সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়নের সমাজ ব্যবস্হার চেয়ে ভ্লাদিমির পুতিনের চরম কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্হাকে নুন্যতম উদার শাসন ব্যবস্হা বলার সুযোগ আছে কি?রাশিয়ায় পুতিন চলে যাচ্ছে নতুন জারের জায়গায়!এটা কি সমাজতন্ত্রের নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্হার বেশি কিছু নয়?নিশ্চয়ই।রাশিয়ায় প্রসিডেন্ট, সংসদ ও স্হানীয় সরকার নির্বাচনে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির উপর নিষ্ঠুর দমন পীড়নের চিত্র গণমাধ্যমে যা আসছে তা কি গণতন্ত্র সম্পর্কে এত বড় একটা রাষ্ট্রের শেষ মেসেজ?যা বর্তমান বিশ্বব্যবস্হাকে প্রভাবিত করছে?মানুষ কী এই ধরনের শাসন ব্যবস্হাকে আধো সমর্থন করে?না হয় কীভাবে বার বার ক্ষমতায় থাকছে এই ধরনের কট্টরপন্থী কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা?কর্তৃত্ববাদী শাসকেরা নির্বাচনকে ভয় পেলেও এই সময়ে যারা স্বৈরাচার হিসাবে চিহ্নিত তারা এমন ধরনের এক নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনী ব্যবস্হা (controlled electroral system) আবিষ্কার করে ফেলেছে যাতে একজন ভোটার কল্পনাও করতে পারেনা তার ভোট কার বাক্সে

কাউন্ট হবে!অথবা ভোট দেওয়াকে সে মূল্যহীন কাজ মনে করে যার কোনো মানে হয়না!অধ্যাপক আলী রীয়াজ যে সিস্টেমের নতুন নাম রেখেছেন হাইব্রিড রেজিম!যেখানে জনগণের ভোটের কোনো মূল্য নেই!

 

দুই.

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর স্নায়ু যুদ্ধের সময় কালে আমেরিকার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক উদার বিশ্বের উত্থান যার রাজনৈতিক স্পিরিট ছিল-উদারতা,মুক্ত সমাজ, গণতন্ত্র-সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একজন বিজনেস মেগনেট!একজন পুঁজির উন্মাদ!একজন বর্ণবাদী!একজন কট্টরপন্থী!বিংশ শতাব্দীতে বিশ্বকে যারা গণতন্ত্র শিখিয়েছে তারাই কেন কর্তৃত্ববাদের পথকেই বেঁচে নিল?রিয়েল ইস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প যেদিন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হল সে দিন থেকেই বিশ্বের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা মনে হয় চূড়ান্ত পতনের দিকে আনুষ্ঠানিক ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে!তাহলে কী বিশ্ব থেকে গনতান্ত্রিক জামানার অবসান হতে চললো?মানুষ কি আগামী দিনের বিশ্বে সমাজতন্ত্র-গনতন্ত্রের পর নতুন কোনো বিশ্ব ব্যবস্হাকে স্বাগত জানাতে যাচ্ছে?কেমন হবে সেই পৃথিবী?তা কি খুব ভয়ংকর?আমি একজন লিবারেল ডেমোক্রেট হিসাবে সেটাকে কি স্বাগত জানাতে পারব?আমার সামনে বিকল্প কী?দেশে দেশে সামরিক বেসামরিক (ডিপ স্টেট)স্বৈরতন্ত্রই কি নিয়তি?আমেরিকা অভিবাসীদের দেশ হিসেবে চিহ্নিত।আমেরিকাই যেন একটা মিনি ওয়ার্ল্ড।সারা বিশ্বের সব দেশের মানুষই কম বেশি এখানের বাসিন্দা।চারজন নারী অভিবাসী কংগ্রেসের এমপিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কিভাবে বলতে পারেন-তোমাদের দেশে তোমরা ফিরে যাও?এটা কী চরম বর্ণবাদ নয়?একমাত্র ভোটের জন্য নেটিভ আমেরিকানিকানিজমের তান্ডব উগ্র মৌলবাদের চেয়ে বেশি নয় কী?

 

তিন.

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গনতান্ত্রিক ব্যবস্হা মনে করা হত ভারতকে।কংগ্রেসের সেকিউলারিজমকে বাদ দিয়ে হিন্দু কট্টর জাতীয়তাবাদী মৌলবাদী বিজেপির বিশাল বিজয়কে কী বলবেন?গনতন্ত্রের বিজয়?উদারপন্হার বিজয়?ভারতের মত বহুত্ববাদী সমাজে মুসলমানদের গন পিটুনীতে হত্যা করা হচ্ছে!এটা গনতন্ত্রের বিজয় নাকি শেষ যাত্রা?চল্লিশলাখ অসোমীয়কে এনআরসির মাধ্যমে অবৈধ বলে ভারত থেকে বিতাড়নের চূড়ান্ত নকশা তৈরি গনতন্ত্রের গালে চপেটাঘাত নয় কী?এক কোটি অধিবাসীর কা/শ্মিরে সাত লাখ ভারতীয় সৈনিকের স্হলে সম্প্রতি অরো দশ হাজার সৈনিক মোতায়েন গনতন্ত্রকে সুস্থ রাখার কোন আলামত?

গো হত্যাকে মুসলিম হত্যার চেয়েও বড় করে দেখা মানব জাতির জন্য চরম লজ্জা নয় কী,যা ভারতে হচ্ছে?বহুত্ববাদী ভারতীয় সমাজে একমাত্র হিন্দু ধর্মীয় মৌলবাদকে এস্টাবলিশমেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গনতান্ত্রিক চরিত্র ই কী দেউলিয়া হয়ে যায়নি?মহাত্মা গান্ধী,সুভাস বসু, নেহেরু, মৌলানা আজাদের ভারতে নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক দর্শন কিভাবে জয় শ্রীরাম বলে দাঁড়িয়ে গেল?নির্বাচনে ভারতীয় পুঁজির অস্বাভাবিক ব্যবহার,মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্নবিদ্ধ ভোটের প্রক্রিয়া দীর্ঘদিনের পৃথিবীর বৃহত্তম গনতন্ত্রের তকমা থেকে ভারতকে কি দূরে ঠেলে

দিচ্ছে?২০-২৫ কোটি মুসলিমকে অপরাধীর চোখে দেখলে গনতন্ত্রের আত্মহত্যার কী বা আর বাকী থাকে?টাইম ম্যাগাজিক যাকে বলে ছিল ‘গ্রেট ডিভাডার অফ ইন্ডিয়া’ সে কী করে বহুত্ববাদী ভারতকে ঐক্যের চাদরে ঢেকে রাখবে?এটা কি বলা যায় মোদির হাতে ভারতীয় গনতন্ত্র খুন হচ্ছে, দাফন হওয়ার বাকী?

 

চীনের প্রেসিডেন্ট চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টিতে এমন প্রভাবশালী নেতৃত্বেই পরিনত হলেন -যে তার চিন্তাকে চীনের সংবিধানে ‘থট অব শি জিং পিং’ হিসাবে যুক্ত করা হয়েছে।মাও সে তুংয়ের পর শি জিং পিং ই একমাত্র নেতা যার চিন্তা সংবিধানে যুক্ত হলো!নিজেকে সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে চীনের আজীবন প্রেসিডেন্ট হিসাবে অনুমোদন করে নিলেন!এক দল,এক দেশই চীন।নামে সমাজতন্ত্র হলেও বাস্তবে পুঁজিবাদের এমন এক দর্শন চীনের রাজনৈতিক ব্যবস্হায় এস্টাবলিশড করা হয়েছে গনতন্ত্র যেখানে স্বপ্নের মত।চীনের মুসলিম অধ্যুষিত জিনজিয়াং প্রদেশের এককোটি উইঘুর মুসলিমের প্রায় দশ লাখই এখন এক ধরনের বন্ধী!ইসলামের পরিবর্তে চীনা মডেলের সমাজতান্ত্রিক দর্শন জোর করে শেখানো হচ্ছে মুসলমানদের।মানুষের ভোটের অধিকার নেই।গনতন্ত্র? সেতো এক বিলাসিতা চীনে।গণমাধ্যম চরম নিয়ন্ত্রিত। মুক্ত বুদ্ধির চর্চা অসম্ভব।নিকট অতীতে হংকং বিক্ষোভে বোঝাই যাচ্ছে চীন রাষ্ট্র হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেসির প্রতি প্রয়োজনে কতটুকু ভয়ংকর রুপ ধারণ করতে পারে!

 

চার.

ইংল্যান্ড,ফ্রান্স,জার্মানি সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশগুলো পাশ্চাত্য রাষ্ট্র হিসেবে লিবারেল ডেমোক্রেসির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ছিল। কিন্তু ইরাক, সিরিয়া, লেবানন,লিবিয়া, ইয়েমেন,তিউনিসিয়া, মিশর,বলজেরিয়া,সুদান, ফিলিস্তিনে যুদ্ধের ভয়ংকর রুপ মুসলমানদের দেশ ত্যাগে বাধ্য করছে দলে দলে।সবার গন্তব্য ইউরোপ! উন্নত জীবনের স্বপ্নে এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকার লাখ লাখ তরুণের সলিল সমাধী হচ্ছে সাগরে!কেউ কেউ ইউরোপের তীরে গড়ছে সংসার,জীবন, ভবিষ্যত।ফলে একবিংশ শতাব্দীতে অভিবাসন নানা কারণেই ঘটছে। যুদ্ধ,প্রাকৃতিক দুর্যোগ, উন্নত জীবনের স্বপ্নই এইসব অভিবাসনের মূল কারণ।আজকের আলোচিত ব্রেক্সিটের মূল কারণও ইংল্যান্ডে অভিবাসীদের ঢেউ থামানো।ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনীতি এখন অভিবাসনের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তিতে বিভক্ত।মানুষের অধিকারের প্রশ্নকে ধামাচাপা দিতে গিয়ে নতুন নতুন রাজনৈতিক দল ও রাজনৈতিক শক্তির উত্থান হচ্ছে ইউরোপে, যারা গনতন্ত্রকে একদমই সহ্য করতে পারেনা।ফলে পাশ্চাত্য দুনিয়ায় গনতন্ত্রের জায়গায় ভয়ংকর এক কর্তৃত্ববাদী সরকার ও রাষ্ট্র ব্যবস্হার জন্ম হচ্ছে।হুমকির মুখে গনতন্ত্র!সেটা অস্বাভাবিক নিশ্চয়ই!

 

আরব বসন্তের মূল স্পিরিটই ছিল মুক্ত সমাজ।গনতান্ত্রিক সরকার।কিন্তু ঐতিহাসিক তাহরীর স্কয়ারের বিপ্লবে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত মিশরের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে আদালতের কাঠগড়ায় জীবন দিতে হল আর ক্ষমতায় বহাল তবিয়তেই আছে সেনা শাসক জেনারেল সিসি!গনতন্ত্র মুক্তির নামে আরব বসন্তের ফলাফল স্বৈরশাসকেরাই ভোগ করছে।গনতন্ত্রের কাছে লজ্জায় নত আজ আরব বসন্তের বিপ্লব।তাই নয় কি?মিয়ানমারের ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির নেত্রীর দল জয়ী হয়েও ক্ষমতায় থাকতে পারলেন না। শান্তিতে নোবেল জয়ী এই এনএলডির সভাপতি অং সাং সূচীই পারলেন না বৌদ্ধ ও সেনাবাহিনীর যৌথ গণহত্যা থেকে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে!১২ লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের নাগরিক আজ বাংলাদেশে শরনার্থী! কী ভয়ানক রুপ!মিয়ানমারের পার্লামেন্টে পঁচিশ পারসেন্ট এমপি সেনা সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত! কী চমৎকার গনতন্ত্র! তাই না?ফিলিস্তিনে হামাস জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলেও সেকুলার ফাতাহ পার্টির নেতা মাহমুদ আব্বাসই বেস্ট চয়েস পাশ্চাত্যের, ফলে সেই আছে ক্ষমতায়!গণতন্ত্র ফিলিস্তিনে এক মরিচীকা!

 

পাঁচ.

পাকিস্তানে সেনাবাহিনী রাষ্ট্রের ভেতরে এক রাষ্ট্র

(ডিপ স্টেট) তৈরি করে রেখেছে।কে ক্ষমতায় থাকবে বা থাকবে না সে জন্য নির্বাচন হলেও মূল সিদ্ধান্তের মালিক জনগন নয় রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।সেনাবাহিনী পাকিস্তানে তৃতীয় রাজনৈতিক দলের মত।নেওয়াজ শরীফ কখনো কারাগারে,কখনো ফেরারী,কখনো নির্বাসনে,এখনো অবশ্য ক্ষমতার ভাগীদার, তাও যে গণতন্ত্র শক্তিশালী হলো পাকিস্তানে সেটা বলা যাচ্ছে না। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রিত। অথচ ইমরান খানের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির কাছে গণতন্ত্র আত্মহত্যা করেছে!ঋণের ভার সইতে গিয়ে গনতন্ত্রের পথকে ভুলতে হচ্ছে!দশম ও একদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাংলাদেশে একটি এমন নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ব্যবস্হার জন্ম দিয়েছে যেখানে মানুষ তার ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলেছে,ভোট দেয়াকে ভয় পায়!নির্বাচন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে সবাই। ভয় আতং আর জোর করে কেন্দ্র দখল একজনের ভোট আরেক জনে দিয়ে দেয়াটাই এখন নির্বাচন!উৎসবের নির্বাচনের নাম এখন আতংক!গনতন্ত্রের নেত্রী কারাগারে!সর্বত্র ভয়াবহ এক ভয়ের সংস্কৃতি।তিনশো পঞ্চাশ আসনের পার্লামেন্টে মূল বিরোধী দলের আসন মাত্র সাতটি?সেখান থেকে পদত্যাগ করায় সরকারের মহা বিজয় হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে! কোটা সংস্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন এবং গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে লড়াই সেখানে রাষ্ট্র চরম নিষ্ঠুর ভূমিকা রেখেছে।ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমের মত মানবাধিকার কর্মীদের জেলে যেতে হয়েছে!শাপলা চত্বরে অপারেশন ফ্লাশিং মিডোস পরিচালনায় রাষ্ট্র যথেষ্ট ধৈর্য ও সহ্যের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছে!ডাকসু নির্বাচনে ভোট কারচুপির ধরন দেখে শিক্ষার্থীরা বিস্ময়ে হতবাক!

 

কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্রের হাইব্রিড রেজিমে সারা দুনিয়ায় অনেক রাষ্ট্রেই কমন কিছু চিত্র বর্তমানে দেখা যাচ্ছে।যেমন- গণমাধ্যমের মাত্রা অতিরিক্ত সরকারি নিয়ন্ত্রণ,সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারি ভাবে প্যারালাইজড করে দেওয়া,বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির উপর দমন পীড়ন নির্যাতন,ভয়েরসংস্কৃতি,গ্রেফতার,গুম,খুন,কারাবন্দীত্ব

,মানুষের মুক্ত বুদ্ধির চর্চায় বাধাদান,আইনের শাসনকে দলীয় শাসন কিংবা এক ব্যক্তির শাসনে পরিনত করা,মানুষ যা বলতে চায় তাকে তা বলতে না দেয়া, একটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ব্যবস্হা এবং বিচার বিভাগে অস্বাভাবিক হস্তক্ষেপ-এগুলোই চরম কর্তৃত্ববাদী শাসনের লক্ষণ।লক্ষ্য করে দেখুন এই ধরনের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্যের রাষ্ট্র বিগত একযুগে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অনেক বেড়ে গেছে যা গনতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্হার একটি সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র,ভয়ংকর দিক।যে ধরনের সরকার গুলো সারা দুনিয়াতেই জোর জবরদস্তি করে ঠিকে থাকে,এমন রাষ্ট্রের সংখ্যা বাড়ছেই দিন দিন।কর্তৃত্ববাদী শাসনের থাবা বর্তমান বিশ্বে গনতন্ত্রের অগ্রগতিকেই কি থামিয়ে দিচ্ছে?

 

সমাজতন্ত্রের পর গনতান্ত্রিক বিশ্বব্যবস্হাও কি কলাপ্স করতে যাচ্ছে?নতুন বিশ্বব্যবস্হা কি কর্তৃত্ববাদকেই মেনে নিবে নাকি প্রতিরোধ করবে?কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে দেশে দেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যত কী?এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা খুব কমন একটা বিষয় হিসাবেই বিবেচিত হচ্ছে!

 

লেখক:রাজনৈতিক বিশ্লেষক