ঢাকাবুধবার, ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আগামী নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের আশ্বস্ত করার ব্যাপারে সরকারের মাথাব্যথা নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
জানুয়ারি ৩, ২০২৩ ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আগামী নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের আশ্বস্ত করার ব্যাপারে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল সোমবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বিরোধী দলগুলো বিদেশিদের কাছে নালিশ করছে। এমন প্রেক্ষাপটে সরকার আগামী নির্বাচনে কোনো প্রভাব বিস্তার করবে না বলে বিদেশিদের কি আশ্বস্ত করতে পেরেছে—পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই প্রশ্ন করেছিলেন সাংবাদিকরা।

জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটি আমাদের ‘হেডেক’ (মাথাব্যথা) নয়। এটি আপনাদের (সাংবাদিকদের) ‘হেডেক’। বিদেশি লোকদের আমার আশ্বস্ত করার দরকার নেই। আমি আমার কাজ করে গেলে তারা বুঝতে পারবে। তখন তারা দেখবে। জনগণ আমার সঙ্গে থাকলে বিদেশি, ‘নন-বিদেশি’ সবার কথা ভুলে যান। ”

নির্বাচন নিয়ে অত উদ্বেগ নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে সরকার অত উদ্বিগ্ন নয়। নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং সুষ্ঠুভাবেই হবে। অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ নির্বাচনের ব্যাপারে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। সেখানে সব দল এলে ভালো। না এলে জটিলতা নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তি দেন, যুক্তরাষ্ট্রে অনেক রাজনৈতিক দল আছে। কিন্তু ঘুরেফিরে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরাই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। সেখানে জনপ্রিয়তার অভাবে অনেক দল নির্বাচনে অংশ নিতেও পারে না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর অংশগ্রহণে গত রবিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অপ্রপচার মোকাবেলায় একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাচনের বছরে বাইরের চাপ মোকাবেলায় ওই কমিটি করতে হয়েছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন বহুদিন বাকি। আমি এটি প্রায়ই বলি। দুনিয়ার অন্যান্য দেশে নির্বাচনের গল্পসল্প শুরু হয় দুই মাস আগে। আর বাংলাদেশে কী ঢং! এক বছর আগেই হৈচৈ শুরু করেছে। এটি খুব দুঃখজনক। ’

মোমেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। আপনারা জানেন। আমার সঙ্গে একমত হবেন। আগে ভুয়া ভোটার হতো। একবার এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার হলো। এখন একেবারে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র। ‘ফ্রডগিরি’ আর করতে পারবে না। একটি স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করা হয়েছে, যাতে এরা ভালোভাবে নির্বাচন করতে পারে। ”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আইনি প্রক্রিয়াটা সুন্দর করতে যাচ্ছি। নির্বাচন নির্বাচনের সময়ই হবে। সুতরাং ওটা নিয়ে আমি খুব উদ্বিগ্ন নই। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাসী। জনগণ যাকে চাইবে তাকেই ভোট দেবে। ’

বাংলাদেশের দূতদের নির্দেশনা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের প্রথম দিনই বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন স্মার্ট সেবা দেওয়ার পাশাপাশি স্বাগতিক দেশগুলোর সেরা চর্চাগুলোও ঢাকাকে অবহিত করেন।

মন্ত্রী বলেন, শুধু চীন বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে নয়, বিদেশি বিনিয়োগেও বৈচিত্র্য আনতে চায় সরকার। আর বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য শুধু পরিমাণে বাড়বে না, পণ্যেও বৈচিত্র্যময় হতে হবে। এ জন্য রাষ্ট্রদূতদের করণীয় জানাতে বলা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, গতানুগতিক শ্রমবাজারগুলোর পাশাপাশি নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধান ও দক্ষতার চাহিদাও জানাতে বলা হয়েছে দূতদের। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সেবার মান বৃদ্ধিতে করণীয় জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় করণীয় বিষয়েও পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।