বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য মো. মোশারফ হোসেনের পদত্যাগের পর থেকেই ওই এলাকায় উপনির্বাচনের হাওয়া লেগেছে। এই আসন থেকে জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করতে চান আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পাওয়া আশরাফুল আলম বলেন, ‘তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আমি আবার নির্বাচন করতে যাচ্ছি।
যদি আমাকে লাঙল প্রতীক দেওয়া হয় তাহলে লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করব। আর যদি না দেওয়া হয় তাহলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেব। ’
তবে লাঙল প্রতীক নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির কার্যালয় থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে আশরাফুল আলমকে। তাঁকে মনোনয়ন ফরম দেওয়া হয়নি।
হিরো আলম বলেন, ‘আমি বারবার ফোন করে গিয়েছি। আমাকে বলা হয়েছে আসুন। আমি যখন গেলাম, আমাকে ফরম দেওয়া হলো না। নানা কারণ দেখাল। পরে আমি জানতে পারছি আমাকে তারা ফরম দেবে না। ’
কেন দেবে না? এমন প্রশ্নের জবাবে আলম বলেন, ‘জানি না তারা কেন আমাকে ফরম দিতে চায় না। একবার বলে আমি সদস্য না, আরেকবার বলে ফরম দেওয়ার সময় শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক সাহেবের সঙ্গে ফোনে কথা বলে গিয়েছি। ’
তবে একটি সূত্র বলছে, হিরো আলমকে ‘ভাঁড়’ উল্লেখ করে তার কাছে ফরম বিক্রি করা থেকে বিরত থেকেছে পার্টি।
হিরো আলম ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চেয়েও পাননি। পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেও সিরিয়ালে দুই নম্বরে ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন দাখিল করেও যাচাই-বাছাইয়ে দুই দফায় মনোনয়ন বাতিল হয়।
পরে হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান। ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার মাঝেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী (সিংহ প্রতীকে) হিসেবে অংশ নেন হিরো আলম। তবে হেরে যান।