শিক্ষা ব্যবস্থায় দীর্ঘ দিন ধরে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করা হচ্ছে; তবে এখন শুধু পরিবর্তন নয়, রূপান্তরের কথা বলা হচ্ছে। আজকের দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি রূপান্তর ঘটাতে হবে। আর সেই রূপান্তরের উদ্দেশ্যেই সরকার নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে এসেছে। এখন আর শিক্ষায় কোন বয়সসীমা থাকবে না, সব বয়সীরাই শিক্ষার সুযোগ পাবেন। এ সুযোগ আমরা করে দিতে চাই; যে কোনো বয়সে একজন ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে ঐতিহ্যবাহী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. দীপু মনি বলেন, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। কারণ আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরীক্ষার ভয়-ভীতি চাই না। আমরা চাই আনন্দময় শিক্ষা পদ্ধতি হবে এবং আনন্দময় শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনষ্ক হবে। শিক্ষার্থীদের শিখন পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ পরিবর্তন নিয়ে আসা হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শিখবে, অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখন হবে। তারা শুধু প্রযুক্তিবান্ধব নয়, প্রযুক্তির ব্যবহার ও উদ্ভাবনে দক্ষ হবে এবং মানবিক-সৃজনশীল মানুষ হবে। যেন তারা দেশের সুনাগরিক এবং বিশ্ব নাগরিক হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি যেকোনো সময় যেকোনো বয়সে মানুষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা নিতে চাইলে তার সেই সুযোগ থাকা উচিত। দেশব্যাপী সেই সুযোগ আমরা তৈরি করে দিতে চাই। সেজন্যই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকারের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। আমরা চাঁদপুরেও প্রযুক্তিকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এখানে পাইলট প্রকল্প হিসেবে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের ১০ জন করে মোট ৩০ শিক্ষার্থীকে রোবটিক্স শেখানো হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক সখিনা খাতুনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান। শতবর্ষ পূর্তির অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাশ ও পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।