ভারতের তাজমহল, যেটি প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটককে ভারতে আকর্ষণ করে। সারা বিশ্ব থেকে এই তাজমল দেখতে ভিড় জমায় পর্যটকরা। সেই তাজমহলকে ৩৭০ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সম্পত্তি কর এবং পানির বিলের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তবে দেশটির ‘আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই)’ কর্মকর্তরা বলেছেন, এটা তাদের ভুলের কারণে হয়েছে, শিগগিরই এটির সমাধান করা হবে।
তাজমহল এবং আগ্রা দুটি দুর্গকেই বকেয়া বিলের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এএসআই বকেয়া বিল হিসেবে এক কোটি রুপি পরিশোধ করতে বলেছে। এ পর্যন্ত তিনটি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুটি তাজমহলের জন্য এবং একটি আগ্রা ফোর্টের জন্য। আগ্রায় অবস্থিত এএসআইয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রত্নতত্ত্ববিদ রাজ কুমার প্যাটেল এনডিটিভিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্যাটেল আরো জানান, ‘তাজমহলের জন্য আমরা দুটি নোটিশ পেয়েছি। একটি সম্পত্তি করের জন্য এবং অন্যটি পানি সরবরাহ বিভাগ থেকে। এএসআইয়ের কাছ থেকে মোট এক কোটির বেশি রুপি দাবি করেছেন তারা। ’
তবে তাজমহল সম্পত্তি কর, পানির বিলের জন্য নোটিশ বিষয়টা আসলে ভুলবশত ঘটেছে বলে জানান হেরিটেজ কর্মকর্তারা।
ড. প্যাটেল বলেন, ‘প্রথমত সম্পত্তি কর বা গৃহ কর স্মৃতিস্তম্ভ প্রাঙ্গণে প্রযোজ্য নয়। উত্তরপ্রদেশসহ অন্যান্য রাজ্যের আইনেও এই বিধান রয়েছে। পানির বিলের জন্য অতীতে এমন কোনো দাবি করা হয়নি। যে পানির সংযোগ আমরা ব্যবহার করে আসছি তা কোনো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়। তাজ কমপ্লেক্সের ভেতর যা আছে তা জনসাধারণের পরিষেবার জন্য। তাই বকেয়া বিল দেওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। ’
তিনি আরো বলেন, ‘ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড আমাদের আগ্রা দুর্গের জন্য পাঁচ কোটি রুপি করের নোটিশও পাঠিয়েছিল। আমরা তাদের উত্তর দিয়েছি স্মৃতিস্তম্ভগুলোকে সংশ্লিষ্ট সরকারি আইন ছাড় দেয়। ’
আগ্রা দুর্গটি মুঘল সম্রাট আকবর কর্তৃক নির্মিত ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। ১৬৩৮ সাল পর্যন্ত মুঘল রাজবংশের সম্রাটদের প্রধান বাসস্থান ছিল এটি। যখন রাজধানী আগ্রা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া আগ্রার একজন সিনিয়র মিউনিসিপ্যাল কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলেছে, কিভাবে নোটিশ জারি হলো তা তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্র : এনডিটিভি