বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া সাধারণ পাঁচটি আসনে উপনির্বাচনে ভোট হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। আসনগুলো হচ্ছে ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২। গতকাল রবিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে।
শূন্য হওয়া নারী আসনে (আসন নম্বর ৫০) নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে সাধারণ আসনগুলোতে উপনির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর।
এ ছাড়া বিএনপির আরেকজন সংসদ সদস্য (এমপি) চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের হারুনুর রশীদ বিদেশ থেকে ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠানোয় জাতীয় সংসদের স্পিকার সেটা গ্রহণ করেননি। বুধ অথবা বৃহস্পতিবার তিনি স্পিকারের সঙ্গে দেখা করে বিধি অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন। আগামীকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
গত ১০ জুন রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির সমাবেশে দলটির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। পরদিন জাতীয় সংসদে পদত্যাগপত্র জমা দিলে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী তা গ্রহণ করেন এবং ওই রাতেই ছয়জন সংসদ সদস্যের পদ শূন্য করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনও শূন্য আসনগুলোতে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
শূন্য আসনগুলোর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা নিয়ে গতকাল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সকাল ১১টায় কমিশন সভা শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বাকি চার কমিশনারসহ কমিশন সচিবালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। সভাশেষে নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম এসব আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী, এই পাঁচ আসনে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারদের কাছে মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ৫ জানুয়ারি, বাছাইয়ের শেষ তারিখ ৮ জানুয়ারী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ১৫ জানুয়ারি এবং ভোট ১ ফেব্ররুয়ারি।
সব আসনে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে) ভোট হবে। ভোটে সিসিটিভি থাকবে কি না, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে বলে নির্বাচন কমিশন সচিব জানান। তিনি আরো জানান, এসব নির্বাচন হওয়ার পর সংরক্ষিত নারী আসন-৫০-এর ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
জেলা প্রশাসকরা রিটার্নিং অফিসার : কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশিষ্টজনরা এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের পরিবর্তে নির্বাচন কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের দাবি জানায়; কিন্তু এই উপনির্বাচনে জেলা প্রশাসকদেরই রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পাঁচটি আসনে ১০ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসারের পদে সাতজন জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এবং তিনজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।