জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, সরকার গণ-আন্দোলনে ভীত হয়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে এবং রিমান্ডের নামে নাজেহাল করছে। তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হলে জনগণ দুর্বার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে তাঁকে মুক্ত করবে।
শফিকুর রহমানের রিমান্ড বাতিল এবং অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার রাজধানীতে জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে আজ দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। শাহাজাদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বাড্ডা বাস সার্ভিসের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এ কর্মসূচি শেষ হয়।
সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী গণতন্ত্র এখন রীতিমতো সার্কাসে পরিণত হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের নেতারা এখন রীতিমতো সার্কাসের কৌতুক অভিনেতা। সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য নতুন করে তামাশা ও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন করার জন্য দিবাস্বপ্নে বিভোর। সে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই তারা নতুন করে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার গণ-অভ্যুত্থান ঠেকানোর জন্য শফিকুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে নিজেদের নগ্ন চেহারা জাতির সামনে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কিন্তু গ্রেপ্তার করে, জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে অতীতে কোনো স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির শেষ রক্ষা হয়নি; আওয়ামী লীগেরও হবে না।
রেজাউল করিম বলেন, অবিলম্বে জামায়াত আমির শফিকুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হলে জনগণ দুর্বার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে তাঁকে মুক্ত করবে।
তিনি বলেন, সরকারের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। ১০ দফার ভিত্তিতে যুগপৎ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার পর তাদের মধ্যে হৃৎস্পন্দন বেড়ে গেছে। সে আতঙ্কের অংশ হিসেবে তারা এখন বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গেও কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ করতে শুরু করেছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দিন মোল্লা ও ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামাল উদ্দীন, মু. আতাউর রহমান সরকার ও নাসির উদ্দীন প্রমুখ।