উইকেটশূন্য প্রথম সেশনের পর চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনে ৩ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন, ইয়াসির আলীর পর ফিরেছেন লিটন দাসও। তবে ৮২ রানে অপরাজিত থেকেই চা-বিরতিতে গেছেন অভিষিক্ত জাকির হাসান, তাঁর সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। টেস্টের চার সেশন বাকি থাকতে বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৩৭ রান।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর পঞ্চম ওভারে ধৈর্যচ্যুতি ঘটে আগের সেশনেই ফিফটি পাওয়া নাজমুলের। উমেশ যাদবের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে উদ্দেশ্যহীন শট খেলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। স্লিপে বিরাট কোহলির হাত থেকে অবশ্য বেরিয়ে গিয়েছিল ক্যাচটি, তবে তৎপর ছিলেন উইকেটকিপার ঋষভ পন্ত। পেছন ফিরে দুবারের চেষ্টায় যিনি নেন ক্যাচ। নাজমুল থামেন ৬৭ রানে, জাকিরের সঙ্গে ওপেনিং জুটি থামে ১২৪ রানেই।
ইয়াসির আলী এরপর বেশিক্ষণ টেকেননি। বাঁহাতি স্পিনার অক্ষর প্যাটেলের একটু জোরের ওপর লাইন ধরে রাখা বলটি ফাঁকি দেয় তাঁর আউটসাইড-এজ। ম্যাচের দ্বিতীয়বারের মতো বোল্ড হন ইয়াসির, দুবারই ফিরলেন দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই। প্রথম ইনিংসে তাইজুল ইসলামের যেমন বলে ফিরেছিলেন চেতেশ্বর পূজারা, ইয়াসিরের উইকেটটি আসে তেমন একটি বলেই।
লিটন দাস শুরুতে ছিলেন অতি-সতর্ক, এরপর স্পিনে হয়ে পড়েছিলেন অতি-উৎসাহী। ভাগ্যের সহায়তা পেয়েছিলেন, তবে কাজে লাগাতে পারেননি। প্রথমে উমেশ যাদবের বলে হতে পারতেন কট-বিহাইন্ড, তবে রিভিউ নেয়নি ভারত। পরে কুলদীপের বলে নেওয়া ভারতের রিভিউ ব্যর্থ হয় ইমপ্যাক্ট বাইরে হওয়ায়। সেই কুলদীপকেই নিয়ন্ত্রণ ছাড়া তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাংলাদেশ সহ-অধিনায়ক, ৫৯ বলে ১৯ রান করে।
স্বাভাবিকভাবেই প্রতিটি উইকেট চাপ বাড়িয়েছে জাকিরের ওপর। এ বাঁহাতি অবশ্য এখন পর্যন্ত দারুণ টেম্পারামেন্টের পরিচয়ই দিয়েছেন। সুযোগ পেলে করেছেন আক্রমণও।
বিনা উইকেটে ৪২ রান নিয়ে চতুর্থ দিন শুরু করা বাংলাদেশ এর আগে প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৭ রান যোগ করে, ফিফটি পান দুই ওপেনারই। এ টেস্ট চতুর্থ দিনে এসে দেখে প্রথম উইকেটশূন্য সেশন। নাজমুল ও জাকিরের রক্ষণ ছিল বেশ দৃঢ়, তবে শট খেলার সুযোগও ছাড়েননি। স্পিনারদের বিপক্ষে নিয়মিত সুইপ শটও দেখা গেছে।