সারাদেশব্যাপী বহুল আলোচিত বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে যোগ দেয় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির হাজার হাজার নেতা -কর্মী ও সমর্থকরা । জেলা ও মহানগর বিএনপির বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের সরব উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ ও গোলাপবাগ মাঠ । ভেদাভেদ ভুলে নিজ নিজ অনুসারীদের নিয়ে এই সমাবেশে যোগ দেয় চট্টগ্রাম বিএনপির নেতারা । চট্টগ্রাম থেকে সমাবেশে যোগ দেওয়া উত্তর জেলা ছাত্রদলের নেতা লিমন চৌধুরী বাপ্পা বলেন,
“বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে ইতিহাসের অংশ হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি । চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার সকল নেতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই গনসমাবেশে যোগ দিয়েছে । নেতাদের নির্দেশ ছিল যে কোন মূল্যে সমাবেশে যোগ দিতে হবে । চট্টগ্রাম বিএনপির তৃণমূলের নেতা-কর্মী -সমর্থকরা তাদের কথা রেখেছে । আমরা চাই সকল ভেদাভেদ ভুলে চট্টগ্রাম বিএনপির নেতাদের নির্দেশে কেন্দ্র থেকে যে কর্মসূচি আসুক না কেন তা আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পালন করব” ।
সমাবেশে উপস্থিত চট্টগ্রাম বিএনপির নেতা- কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি থেকে নগর বিএনপির আহবায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন, সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক এম এ আজিজ , যুগ্ন আহবায়ক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান এর নেতৃত্বে যোগ দেয় যুবদল , ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের বিপুল সংখ্যক নেতা- কর্মী- সমর্থকরা । এছাড়া উত্তর জেলা বিএনপি থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম ফজু , কেন্দ্রীয় সদস্য ব্যারিস্টার মীর হেলাল, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সরোয়ার আলমগীর, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক জসীমউদ্দীন, এস এম ফিরোজ, অধ্যাপক মহসিন , জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক সাবের সুলতান কাজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরোয়ার সেলিম, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আনসুর উদ্দিন সহ বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেয় সমাবেশে । দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জেলা বিএনপি নেতা এনামুল হক এনাম সহ যুবদল , ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন সমাবেশে।
সমাবেশে অংশে নেওয়া চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল মান্নান বলেন, “এই সমাবেশের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে বিএনপি সহ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ শেষ বার্তা পাঠিয়েছে । আর সেই শেষ বার্তাটি হল – এই গন বিরোধী- দেশ বিরোধী- অবৈধ সরকার আর বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায় না ”।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “মাফিয়া সরকারের সকল বাধা অতিক্রম করে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি ইউনিট ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এই সমাবেশে অংশ নিয়েছে। এই সমাবেশ থেকে খুন, গুম, ভোটাধিকার -মানবাধিকার হরণকারী , দেশের স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব -অখন্ডতা বিনষ্টকারী এই অবৈধ সরকারকে বাংলাদেশের মানুষ লাল কার্ড দেখিয়েছে। ”
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডাক্তার শাহাদাত হোসেন বলেন , “হাজারো প্রতিকূলতা, নির্যাতন-নিপীড়ন ও প্রতিবন্ধকতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সমাবেশে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রামের বিএনপির নেতা -কর্মী- সমর্থকরা সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছে , চট্টগ্রামের মাটি,বিএনপির ঘাঁটি । ১৫ লাখ লোকের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই গণসমাবেশ ফ্যাসিবাদী সরকার এর জন্য শেষ সতর্ক সংকেত। সমাবেশ থেকে ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজপথে জনতার ঢল নামবে খুব শীঘ্রই ।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকলেও ঢাকার এই গণসমাবেশে চট্টগ্রাম বিএনপির নেতাকর্মীদের বিপুলসংখ্যক উপস্থিত এটাই প্রমাণ করে যে, দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়নে তারা এক ও অভিন্ন ।