ঢাকাসোমবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘নয়াপল্টনের ঘটনা ঘটার আগেই খবর ওয়াশিংটন চলে গেছে’ : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
ডিসেম্বর ৯, ২০২২ ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সরকার কোনো ধরনের সংঘাত চায় না। অনেকের ইচ্ছে একটা লাশ পড়ুক। লাশ পড়লে ওরা খুব খুশি হয়। তখন পাবলিক সেন্টিমেন্ট পাওয়া যায়

গতকালের ঘটনাটি ঢাকায় ঘটার আগেই ওয়াশিংটনে চলে গেছে। 

গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের জবাবে আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের ইনানী বিচে এক অনুষ্ঠান শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি কিছুদিন আগে কপ-২৭-এ মিসরে গিয়েছিলাম। ওখানে সরকারের কথা ছাড়া কেউ কোনো কথা বলতে পারে না। বাংলাদেশ ইজ নট লাইক দ্যাট। আর এখানে কতগুলো প্রাইভেট টেলিভিশন রয়েছে। নো ওয়ান ইজ আন্ডার প্রেসার। ’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র চায় কোনো সংঘাত না হোক, আমরাও সংঘাত চাই না। তবে আমেরিকায়ও রাস্তায়, হোয়াইট হাউসের সামনেও বড় জনসভায় আমেরিকান সরকার রাজি হবে না। নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটানের রাস্তায় সভা করার ক্ষেত্রে দে উইল নট অ্যালাউ। দেয়ার ইজ অ্যা রুল, সিস্টেম। আমরা আমাদের পথচারীদের বাধা দিতে চাই না, বিঘ্ন দিতে চাই না। বিএনপি ডেমোনস্ট্রেশন করতে চান, সম্মেলন করতে চান। নিশ্চয়ই হলের ভেতরে করতে পারেন, মাঠের মধ্যেও করতে পারেন। কারণ বাংলাদেশের সব লোকের কথা বলার অধিকার আছে। ’

এ সময় তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন অপজিশনের লোক কন্টিনিউয়াসলি সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের কথাবার্তা বলছেন, বানোয়াট তথ্য দিচ্ছেন। সরকার এ জন্য কখনো কাউকে আক্রমণও করেনি। যে যা বলে বলবে। ইউটিউবে যদি বক্তৃতাগুলো শোনেন, টক শো দেখেন, টেলিভিশন দেখেন গভর্নমেন্ট কি কাউকে বারণ করেছে কখনো? অনেক সময় মিথ্যা কথা বলে, বারণ করেছে? কাউকে বারণ করেনি। বাংলাদেশের মতো এত ফ্রিডম খুব কম দেশেই আছে। ’

ঢাকায় আমেরিকানদের চলাচলে সতর্কবার্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে ব্রিটিশরা দিয়েছিল। আসলেই দেশের অবস্থা কি খারাপ? দেশের অবস্থা মোটেই খারাপ না। ’ এটা আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য কেউ কেউ দিয়ে থাকেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।