প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ এর পরই ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনেও আমি আপনাদের কাছে নৌকা মার্কায় ভোট চাই।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ষ্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই কক্সবাজারে উন্নয়ন করতে পেরেছি। পরপর তিনবার ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। ধারাবাহিকভাবে ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি আছে বলেই, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাচ্ছে।
২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধশীল রাষ্ট্র হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতার পরবর্তী বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর এই কক্সবাজার তথা বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের প্রতি কেউ মুখ ফিরে তাকায়নি। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কক্সবাজারকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছিলো। ২০০১ সালে আবার বিএনপি ক্ষমতায় এলে সে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড থমকে দেয়। কিন্তু, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় এলে কক্সবাজারে ১২টি মেগা প্রকল্পসহ ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করা হয়। ইতিমধ্যে ২৯টি প্রকল্প সমাপ্ত করতে পেরেছি আমরা। কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেললাইন, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎপ্রকল্প অতি সহসা পরিপূর্ণ হলে এর সুফল কক্সবাজারবাসীসহ পুরোদেশ ভোগ করতে পারবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে আমরা বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছিলাম। যত দ্রুত সম্ভব তাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা চলমান রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছিলাম। সেখানে গ্রেনেড হামলা করেছিলো খালেদা-তাকের গং। এতে আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ নেতা-কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা খালেদা জিয়াদের কাজ। পেট্রোল সন্ত্রাসে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। জামাত-বিএনপি হত্যা, গুম, খুনসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। অস্ত্র চোরাকারবারের মামলায় অভিযুক্ত তারেক জিয়া চক্র জঙ্গীবাদের মদদদাতা। তারা ধ্বংস ছাড়া কিছুই পারে না।
কক্সবাজারের পর্যটনকে ঢেলে সাজানোর কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকনাফের সাবরাংয়ে বিদেশিদের জন্য এক্সক্লুসিভ জোন করা হচ্ছে। দীর্ঘ সৈকতের সবখানেই পর্যটন বিস্তৃত করার কাজ চলছে। গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন নতুন পর্যটন স্পট। কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (কউক) দিয়ে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে কক্সবাজার।
প্রধানমন্ত্রী সবশেষে বলেন, আমাদের যথা সাধ্য কক্সবাজারে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০২৩ সালে জাতীয় নির্বাচন। চলমান উন্নয়ন বিবেচনা করে নৌকায় ভোট চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন। শেখ হাসিনা বলেন, আবার আসিব ফিরে, এই সৈকতের তীরে। খোদা হাফেজ।