দেশের ব্যাংক টাকা নেই এমন গুজবে কান না দেওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকে টাকার কোনো সমস্যা নেই। প্রতিটি ব্যাংকে পর্যাপ্ত টাকা আছ।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটি কথা আমি বলতে চাই, কিছু গুজব ছড়াচ্ছে। ব্যাংকে টাকা নাই, টাকা নাই বলে মানুষ টাকা তুলে ঘরে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমি আগেও বলেছি এখনও বলি—এদের কি চোরের সঙ্গে কোনও সমঝোতা আছে কিনা, যে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ঘরে রাখলে চোরের পোয়া বারো! চোর চুরি করে খেতে পাবে! কিন্তু আমি একটা কথা বলি—আমি এসডিজি সচিব, অর্থ সচিব এবং আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি। আজকে সকালে আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের কোনও সমস্যা নাই, প্রতিটি ব্যাংকেই টাকা আছে। কাজেই আমি বলবো—গুজবে কেউ কান দেবেন না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যে কথা বলে মানুষকে তারা বিভ্রান্ত করতে চায়। একটা শ্রেনী আছে তারা এটা করবেই আমি জানি। কারণ মিথ্যে কথায় তারা পারদর্শী। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি আর সেটাকেই আমাদের বিরুদ্ধে কাজে লাগায় তারা। কাজেই এদিকে সকলের বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, তাঁর সরকার ৩৫ লাখ মানুষকে ঘর করে দিয়েছে। জাতির পিতার এই বাংলাদেশে কেউ ভ’মিহীন-গৃহহীণ থাকবেনা। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় ভ’মিহীন-গৃহহীণ মানুষ খুঁজে বের করার আহবান জানান তিনি। তাদের বৃত্তান্ত দিলে সরকার তাদের পুণর্বাসন করবে বলেও উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছিলাম বলে ঘর ভরে গেছে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের এর উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।
বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতাই চায়নি তারা এ দেশের উন্নয়ন কখনোই দেখবে না। মানুষ সামনের দিকে আগায়, বিএনপি ক্ষমতায় এলে পেছনে যায়, ভূতের মতো। তারা মনে হয় ভূতের রূপ নিয়েই আসে আমাদের দেশে।
ছাত্রলীগের কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ছাত্রলীগ সব সময় মানুষের পাশে থাকে, তাদের ধন্যবাদ জানাই। করোনায় যখন বাবা-মায়ের মৃত্যুতে ভাইবোন পর্যন্ত মরদেহ ফেলে চলে যেত বা আক্রান্ত হলে ছেড়ে চলে যেত-তখন তাদের পাশে ছিল ছাত্রলীগ। তাদের চিকিৎসা দেওয়া, খাদ্যের ব্যবস্থা করার কাজটি করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। সিলেটের বন্যার দুঃসময়ে মানুষের পাশেও ছিল এ ছাত্রলীগ। ওই দুর্গম এলাকায়ও তারা ছুটে গেছে, মানুষের পাশে থেকেছে। কৃষকের ধান কাটায়ও অগ্রবর্তী ছিল ছাত্রলীগ। আমার নির্দেশ মতো সবার আগে তারা কৃষকের ধান কেটে দিয়েছে। পরে কৃষক লীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ অনেকেই মাঠে নেমেছে। তবে ছাত্রলীগই আগে নেমেছে। সব সময় ছাত্রলীগ অগ্রসেনা।