আশ্রয়কেন্দ্রের বাসিন্দা জানান, দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের সদস্য গুলশের আলী শনিবার তাদের ২ কেজি করে চাল, ডালসহ আরো কিছু সামগ্রী দিয়ে গেছেন। তারা কিছু শুকনো খাবার খেয়েছেন।
সিলেটে ২৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ২০ হাজার ১২৫ জন বানভাসী মানুষ ঈদ উদযাপন করেছেন। রবিবার (১০ জুলাই) জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল এ তথ্য জানিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুরমা বেসিনে বন্যার পানি অনেকটা নেমে গেলেও কুশিয়ারা বেসিনে পানি নামছে ধীর গতিতে। এ কারণে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও বিয়ানীবাজার উপজেলার বাসিন্দারা বিপদে আছেন।
বালাগঞ্জের শিওরখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানরত সজ্জাদ আলী জানান, ঘরে গলাসমান পানি উঠে যাওয়ায় গত ২০ দিন ধরে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। আশ্রয়কেন্দ্রে তারা কোনোমতে দিনযাপন করছেন। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি শুকনো খাবার পেয়ে দিন যাচ্ছে। এ কারণে তাদের মধ্যে ঈদের আনন্দ নেই।
একই কেন্দ্রে সজ্জাদ আলীসহ আরো ৪টি পরিবারের ২০/২৫ জন লোক অবস্থান করছেন। সজ্জাদ আলী জানান, স্ত্রী ও চার ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার ৬ জনের সংসার। দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের সদস্য গুলশের আলী শনিবার তাদের ২ কেজি করে চাল, ডালসহ আরো কিছু সামগ্রী দিয়ে গেছেন। এর আগেও তারা কিছু শুকনো খাবার খেয়েছেন। তার বাড়িতে এখনো হাঁটু সমান পানি।
সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসানুল আলম ঢাকা ট্রিবিউনকে জানান, সিলেট জেলায় বন্যায় মোট ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০ হাজার ৯১টি। জেলায় সবমিলিয়ে ২১১২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ হয়েছে। নগদ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ এবং প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাওয়া গেছে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এছাড়া, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন ও গৃহমঞ্জুরি বাবদ ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।