সকাল ১০ টা চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে জনসভার মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুপুর ১২টায় স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন। বেলা ৩টার দিকে সভাস্থলে প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি (বিএমএ) থেকে হেলিকপ্টারযোগে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে নামবেন।
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে জনসভার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় নেতাদের তদারকিতে সুন্দর একটি ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এটি স্মরণকালের বড় জনসভা হবে।
এই জনসভাকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রচার চলছে। নগরের অলিগলি রাজপথ ছেয়ে গেছে পোস্টার ব্যানার ও তোরণে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী যেসব সড়ক ব্যবহার করে জনসভায় যাওয়া-আসা করবেন, সেসব সড়কে ব্যানার-পোস্টার লাগানোর জায়গা নেই। ইতোমধ্যে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে জনসভার দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। ৩ হাজার ৫২০ বর্গফুটের এই মঞ্চে কমবেশি ২০০ মানুষ বসতে পারবেন।
পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জনসভা ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফ আগে থেকে জনসভাস্থলসহ সম্ভাব্য সব স্থানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে কেবল মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সাত হাজারের বেশি পুলিশ থাকছে।
জনসভা মাঠ ও আশপাশের এলাকায় ৩০০ মাইক বসানো হয়েছে। জনসভাস্থলের দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত জনসভার মাইকের শব্দ পাওয়া যাবে। মাঠে থাকবে ৩০ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম। নগরের দেওয়ানহাট, সিআরবি, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, কদমতলী, স্টেশন রোডসহ আশপাশের এলাকায় এই মাইকগুলো লাগানো হয়।
এ ছাড়া টাইগারপাস দেওয়ানহাট, সিআরবি, স্টেডিয়ামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঁচটি বড় পর্দা লাগানো হবে বলে জানা গেছে।
সর্বশেষ ২০১২ সালের ২৮ মার্চ পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দীর্ঘ বিরতির পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জনসভা সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে আওয়ামী লীগ।