করোনাভাইরাস মহামারি এবং ভয়াবহ বন্যার মধ্যেই আজ রবিবার (১০ জুলাই) বাংলাদেশে মুসলমানরা তাদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব, ঈদুল আজহা উদযাপন করবে।
বাংলাদেশের মুসলমানরা পশু কোরবানি এবং প্রতিবেশি ও দরিদ্রদের মধ্যে মাংস বিতরণ করে, যথাযথ ধর্মীয় উৎসাহের মধ্যদিয়ে দিনটি উদযাপন করবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক শুভেচ্ছা-বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা পবিত্র ঈদুল আজহার প্রাক্কালে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, “বিগত দু’টি বছর বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব করোনা মহামারির বিভীষিকার মধ্যেই ঈদুল-আযহা উদযাপন করেছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও, ভবিষ্যৎ সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।”
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, করোনাভাইরাস মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, বাংলাদেশের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া, তিনি পবিত্র ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সরকার নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করার জন্য নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে, বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কল্যাণমুখী কাজে অংশগ্রহণের জন্য পবিত্র ঈদুল আজহার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আল্লাহ বিপদে মানুষের ধৈর্যের পরীক্ষা নেন। এ সময়ে, সহনশীলতা ও সহানুভূতির সাথে অবিরাম ধৈর্য ধরে রেখে আমাদের একে অপরকে সহযোগিতা করতে হবে।”
এদিকে, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ জানিয়েছে, রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৮টায়, ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত না হলে, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচটি জামাতের মধ্যে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এছাড়া সকাল ৮টা, ৯টা, ১০টা ও পৌনে ১১টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত দুই বছর স্থগিত থাকার পর, এবার ঈদুল আযহায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। শোলাকিয়া মাঠে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।
পবিত্র ঈদুল আজহা নির্বিঘ্নে উদযাপন নিশ্চিত করতে রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।