দীর্ঘ ১০ বছর পর আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পোলোগ্রাউন্ড ময়দানে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার মহাসমাবেশ। এই মহাসমাবেশ সফল করতে বিরামহীন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। যেদিন থেকেই প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে সেদিন থেকেই একাগ্রচিত্তে প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ কে সফল করতে সমগ্র চট্টগ্রামে ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে আসছেন আওয়ামী লীগের এই পোড় খাওয়া নেতা।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাবউদ্দিন সহ সকল নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ের আওয়ামী লীগের কর্মী- সমর্থকদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক সহ মহানগরের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিট ও ৪১ টি ওয়ার্ডে ব্যাপক সাংগঠনিক কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। মহাসমাবেশ সফল করতে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভার পাশাপাশি চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব সভায় আ.জ.ম নাছিরের দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য নজর করেছে নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ কর্মী -সমর্থকদের । ইতিমধ্যে তার দিকনির্দেশনায় পথসভা, মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও সাধারণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার কাজ অব্যাহত রয়েছে।
মহাসমাবেশ সফল করার পাশাপাশি সমাবেশস্থলে প্রধানমন্ত্রী সহ জনসভায় আগত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন সংস্থার সাথে বৈঠকের পাশাপাশি সমগ্র পোলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন করে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেই তদারকি করেন । শুধু তাই নয় প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে “গানের মোড়ক” উন্মোচন করেন আ.জ.ম নাছির। মোড়ক উম্মোচনকৃত এই গান ইতিমধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে আওয়ামী লীগের কর্মী- সমর্থক সহ সাধারণ মানুষের মাঝে।
আ.জ.ম নাছিরের সাংগঠনিক এই সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ষাটোর্ধ্ব বয়সী আওয়ামী লীগের সমর্থক ব্যবসায়ী ইউনুস বলেন ,
“নেত্রীর আগমন উপলক্ষে নাসির ভাইয়ের সাংগঠনিক দক্ষতায় সমগ্র চট্টগ্রামে যে জনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। চট্টগ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসছেন।”
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রেজাউল আলম রনি বলেন,
“বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সোনালী ফসল চট্রলবীর আ.জ.ম নাছিরউদ্দিন। নাছির ভাইয়ের উপর অর্পিত দায়িত্ব উনি অতীতেও নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন এবং এবারও করছেন । আগামী ৪ ডিসেম্বর স্মরণকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ দেখবে বাংলাদেশের মানুষ”
চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি সুজিত দাস বলেন , “সাংগঠনিক ও রাজনৈতিকভাবে নাছির ভাই পরীক্ষিত নেতা তা প্রমাণিত সত্য। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করা আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর সাংগঠনিকভাবে নৈতিক দায়িত্ব । আর এই দায়িত্ব পালনে আমাদের সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করছেন চট্রলবীর আ.জ.ম নাছির । প্রধানমন্ত্রীর সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে নাছির ভাইয়ের দিকনির্দেশনায় সমগ্র চট্টগ্রামের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে মহাসমাবেশ সফল করতে।”
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, চ.সি.ক এর সাবেক প্যানেল মেয়র ও ২০ নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, “চট্টগ্রামবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে। দীর্ঘ ১০ বছর পর চট্টগ্রাম মহানগরে অনুষ্ঠিতব্য প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির ভাই ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দসহ এবং আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের কর্মী -সমর্থকরা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী ১ ডিসেম্বর মাঠ সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে যাবে সমাবেশের জন্য এবং আমরা আশা প্রকাশ করছি এই মহাসমাবেশে ২০-২৫ লাখ লোকের সমাগম ঘটবে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘ ১০ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের জনসভা ব্যাপক তাৎপর্য বহন করছে। বিশেষ করে বিএনপি সহ অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের ডাক , বিশ্ব রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট , আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উজ্জীবিত করা, উন্নয়নের রাজনীতি সুফল অক্ষুন্ন রাখা, সাধারণ জনগণের রাজনৈতিক ব্যারোমিটার পরিমাপ করা এবং সর্বোপরি আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী আগামী ৪ ডিসেম্বর মহাসমাবেশ থেকে চট্টগ্রামবাসী সহ সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের নিকট কি বিশেষ বার্তা প্রদান করছেন সেটি দেখার প্রত্যাশায় সকলের।