বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)’ এর চেয়ারম্যান সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সমগ্র সৃষ্টির জন্য দয়া ও ইহসান হয়ে এসেছেন। তার মহৎ আদর্শ পৃথিবীর কোণে কোণে পৌঁছে দিয়েছেন সুফি সাধকগণ। তারা এমন সকল স্থানে গমন করে ইসলামের দাওয়াত দিয়েছেন, যেখানে কোন মুসলিমের নাম গন্ধ ছিল না। পথ ছিল দুর্গম, সংকটাপন্ন। প্রচণ্ড প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তারা মহান আল্লাহ্ ও প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বার্তাকে মানুষের অন্তরে প্রবেশ করিয়ে তাদেরকে মুক্তির পথের সন্ধান দিয়েছেন। খানকাহ্ শরীফ মূলত ইসলাম প্রচার ও তাসাউফ চর্চার প্রধান ভিত্তি। আল্লাহর অলিগণ খানকাহ্ শরীফ বা তাদের আবাসস্থল থেকে ইসলাম প্রচার করতেন। পরে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি হলে মসজিদ ও মাদ্রাসা গড়ে ওঠে। তাই খানকাহ্ শরীফের তাৎপর্য অপরিসীম।
সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী আরো বলেন, “একবিংশ শতাব্দীতে সময়ের আলোকে খানকাহ্ শরীফসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনাগুলোকে নতুনভাবে সাঁজাতে হবে। ধর্মীয় স্থাপনাগুলোকে জ্ঞানার্জন, তাসাউফ চর্চা ও মানবতার আলো ছড়ানোর কেন্দ্রে পরিণত করতে হবে। এজন্য মানসম্পন্ন গ্রন্থাবলির সমন্বয়ে লাইব্রেরি গড়ে তুলতে হবে। খানকাহ্ শরীফ থেকে আশেপাশের দুঃস্থ, অসহায়, দূর্যোগপীড়িত জনগণকে মানবিক সহায়তা সরবরাহ করতে হবে। এলাকার শান্তি, শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে হবে। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কম্পিউটার শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প পরিচালনা করা যেতে পারে। মানুষের মাঝে জ্ঞানার্জনের স্পৃহা জাগ্রত করতে হবে। বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের কাছে প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সর্বোত্তম চরিত্র, তার শান্তি, সম্প্রীতি, ন্যায়, মানবতার জন্য অনন্য অবদানকে তুলে ধরতে হবে। এজন্য আমরা সাপ্তাহিক ‘দাওয়াতুল হাসানাহ্’ (উত্তমের দিকে আহবান) নামক তাসাউফচর্চার একটি আসর প্রচলন করেছি। যেখানে ইসলামের আলোকে মানুষকে আত্মশুদ্ধি অর্জন ও মানবকল্যাণে উদ্বুদ্ধ করা যায়।”
গত ২০ নভেম্বর, মাদারীপুর জেলা কেন্দ্রীয় খানকাহ্ শরীফ উদ্বোধনকালে তিনি এ আলোচনা করেন।
দোজাহানের বাদশাহ্ হুযুরপুর নূর, আহমদ মুজতবা, মুহাম্মদ মুস্তফা, প্রিয় নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এবং সম্মানিত আহলে বাইতে রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গণের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাতু সালাম নিবেদন শেষে মাহ্ফিলের সমাপনী মুনাজাতে বিশ্ববাসীর কল্যাণে প্রার্থণা করেন শাহ্সুফি সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী মাইজভাণ্ডারী। গরীব ও অসহায়দের জন্য বিশেষ খাবারের আয়োজন করে আয়োজক কতৃপক্ষ।