ঢাকারবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চলতি মাসেই খুলে দেয়া হচ্ছে কর্ণফুলী টানেলের একাংশ

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
নভেম্বর ১০, ২০২২ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চলতি মাসেই খুলে দেয়া হচ্ছে বহুল প্রত্যাশার কর্ণফুলী টানেলের একাংশ। শুরুতে পরীক্ষামূলকভাবে একটি টিউব চালু করে দেয়া হবে। আগামী মাসেই টানেল পুরোদমে চালু করে দেয়া হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলা হয়েছে যে ইতোমধ্যে টানেলের মূল কাজ শেষ হয়েছে। এখন ফিনিশিং ওয়ার্ক চলছে। সবকিছু মিলে প্রকল্পটির কাজ ৯১ শতাংশ শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, বাকি কাজও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল ঢাকায় চলতি মাসে টানেলের একাংশ খুলে দেয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, টানেলের একাংশ চলতি মাসেই চালু করে দেয়া হবে।

সূত্র জানিয়েছে, চীনের সাংহাইয়ের আদলে চট্টগ্রামকে ওয়ান সিটি টু টাউন হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল। চট্টগ্রাম মহানগরীর সাথে আনোয়ারাকে যুক্ত করার মাধ্যমে কঙবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ, পর্যটন, শিল্পায়ন এবং আবাসন খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে এই টানেলের মাধ্যমে। চীনের আর্থিক ও কারিগরী সহযোগিতায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন টানেলের কাজ ইতোমধ্যে ৯১ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে কাজ কিছু বাকি থাকতেই পরীক্ষা মূলকভাবে টানেল চালু করে দেয়া হবে। চলতি মাসের মধ্যেই টানেলের একটি টিউব খুলে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে।

টানেলের দুইটি টিউবসহ মূল কাজ শেষ হয়েছে বলে উল্লেখ করে সূত্র বলেছে, টিউব দুইটির সঙ্গে বর্তমানে তিনটি সংযোগপথের সংযোগ নির্মাণ করা হচ্ছে। টানেলের ভেতরে সড়কবাতি স্থাপন, অগ্নিপ্রতিরোধ বোর্ড, সাজসজ্জার প্লেট স্থাপন, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ও পাম্প স্থাপনের কাজও চলছে জোরে শোরে। টানেলের ভেতরে বাতাস চলাচলের জন্য ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ মূল টানেলের প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলে ১০ দশমিক ৮ মিটার প্রস্থের টিউব দুইটির একটি থেকে অপরটির দূরুত্ব প্রায় ১১ মিটার।

নদীর তলদেশ থেকে টিউবের সর্বোচ্চ গভীরতা ৩৬ মিটার। টিউবের ভেতরের উচ্চতা ১৬ ফুট। দুই টিউবের প্রথম সংযোগপথের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ১৪ মিটার, দ্বিতীয়টির দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ৩৪ মিটার এবং শেষটির দৈর্ঘ্য ১০ দশমিক ৭৪ মিটার। প্রতিটির ব্যাস গড়ে ৪.৫মিটার। কোনো কারণে কোন একটি সুড়ঙ্গের ভেতর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সংযোগপথ দিয়ে নিরাপদে অন্য সুড়ঙ্গে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে টানেল চালু করার আগে এসব বিষয়ও নিশ্চিত করা হচ্ছে বলেও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।