ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের ‘প্রকৃত’ আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষে আজ রবিবার ফের শাহবাগ থানা ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেন। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকও আন্দোলনে সংহতি জানান।
এর আগে শুক্রবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় প্রায় দেড় ঘণ্টা শাহবাগ থানা ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের আশ্বাসের ভিত্তিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেন এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ায় আজ আবারও তারা রাস্তায় নামেন।
শাহবাগ থানার ডিউটি অফিসার এসআই মারুফা বলেন, “ঢাবি শিক্ষার্থীরা থানার সামনে অবস্থান নিয়েছে। আমাদের ওসি স্যারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।”
১৩ মে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে রমনা কালীমন্দিরের উত্তরে একদল দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য (২৫)। পুলিশের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরার পথে সাম্য ও তার দুই বন্ধু মোটরসাইকেলে থাকাকালীন সময়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। সাম্যকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
সাম্যকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন—মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও মো. পলাশ সরদার (৩০)। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, এরা কেউই ‘প্রধান ঘাতক’ নন। মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।