মাগুরার নিজনান্দুয়ালী এলাকায় আট বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি হিটু শেখকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৭ মে) সকালে মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার অন্য তিন আসামি—সজীব শেখ, রাতুল শেখ ও জাহেদা বেগম—কে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাত্র ২ মাস ১১ দিনের মধ্যে এই মামলার অভিযোগ গঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ এবং যুক্তিতর্ক উপস্থাপনসহ সম্পূর্ণ বিচারিক কার্যক্রম শেষ হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটিতে মোট ২৯ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, চলতি বছরের ৫ মার্চ শিশুটি রমজানের ছুটিতে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়। অভিযুক্ত হিটু শেখ তাকে ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টাও করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। পরে শিশুটিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর শিশুটির মা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
রায়ের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসানুল হক সমাজি বলেন, “এই রায় আমাদের আইনি ব্যবস্থার জন্য একটি দৃষ্টান্ত। এতে প্রমাণিত হয়েছে, বিচার পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না—সচেতন ও কার্যকর প্রক্রিয়া থাকলে দ্রুততম সময়েই সুবিচার সম্ভব।”
এ মামলার দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া ও দৃষ্টান্তমূলক রায় দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছে এবং এটি শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে একটি বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।