বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক প্রশ্নের উত্তরে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
তিনি বলেন, “কোনও উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ না করেই আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ একটি উদ্বেগজনক ঘটনা।”
তিনি আরও বলেন, “গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা যেভাবে খর্ব করা হচ্ছে এবং রাজনৈতিক পরিসর সঙ্কুচিত হয়ে আসছে, তা নিয়ে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন।”
ভারত সরকার একইসঙ্গে বাংলাদেশে যত দ্রুত সম্ভব একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে। মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের জনগণ একটি প্রতিনিধিত্বমূলক ও গণতান্ত্রিক সরকার পাওয়ার যোগ্য।”
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার গত ১২ মে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর আগে গত নভেম্বরে ছাত্রলীগকেও নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছিল সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত বছর অগাস্টে ক্ষমতায় আসে নতুন প্রশাসন, যা সেনা সমর্থিত এবং রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে দেশের নেতৃত্ব পরিবর্তনের ঘোষণার অংশ হিসেবে কাজ করছে।
বাংলাদেশের এই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারতের উদ্বেগ কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষত, বাংলাদেশ-ভারতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে এ মন্তব্য দিল্লির পক্ষ থেকে একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।