চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব জব্বারের বলী খেলা আয়োজন নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে কমিটির গঠনকে ঘিরে। ১১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটিতে একাধিক রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তি স্থান পাওয়ায় উঠেছে প্রশ্ন—জব্বারের বলী খেলাও কি তবে রাজনৈতিক দখলদারিত্বের শিকার?
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক হয়েছেন হাফিজুর রহমান। সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন শওকত আনোয়ার বাদল, যিনি প্রয়াত আব্দুল জব্বারের নাতি। কমিটিতে রয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ ও শাহনেওয়াজ রিটন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ হারুন জামান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সাইফুল আলম খান, এস এম আক্তার, সংগঠক আলী হাসান রাজু, আকতার আনোয়ার চঞ্চল, খোরশেদ আনোয়ার বাবুল ও মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন দুই সদস্য—সাংবাদিক সি আই ফরিদ ও সাইফুল আলম খান। স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে, এরা দু’জনই অতীতে পতিত স্বৈরাচারী শাসনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে আওয়ামী ঘরানার রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকায় তাদের নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে সংস্কৃতিমহলে।
সংস্কৃতিকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “জব্বারের বলী খেলা চট্টগ্রামের প্রাণ, এটি কোনো দলের নয়—সব মানুষের উৎসব। রাজনীতির লোকজন যখন এর কর্তৃত্ব নিতে চান, তখন ঐতিহ্যই বিপন্ন হয়।”
এই বিষয়ে এখনো আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যেই সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই দাবি তুলেছেন, জব্বারের বলী খেলার আয়োজন থেকে দলীয় প্রভাবমুক্ত ও সংস্কৃতিমনা নাগরিকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে, নইলে এই প্রাচীন লোকজ উৎসব হারাবে এর আসল রূপ।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত সংশ্লিষ্টদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি