জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ (RAW)-এর হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়ে মন্তব্য করেছেন যে, “RAW-এর স্টেশন হেডের সঙ্গে মিটিং করে তাদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে বাংলাদেশে রাজনীতি চলবে না।”
বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এই মন্তব্য মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন তোলে। পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায়, এবং নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় মন্তব্য, শেয়ার ও প্রতিক্রিয়ার ঝড়।
অনেকে এই বক্তব্যকে সাহসী বলে প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ সমালোচনা করেছেন, যা স্পষ্ট করে দেশের রাজনীতিতে এই মন্তব্য কী ধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই মন্তব্যের মাধ্যমে হাসনাত স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, দেশের রাজনীতিতে বিদেশি প্রভাব, বিশেষত প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ, কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
এর আগেও, ১৫ এপ্রিল হাসনাত একটি আলোচিত ফেসবুক পোস্টে আওয়ামী লীগ ও রাজনৈতিক সমঝোতার রাজনীতি নিয়ে তীব্র মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে তিনি বলেন, “যেদিন থেকে আমাদের আওয়ামী বিরোধী অবস্থান এবং কম্প্রোমাইজের রাজনীতির বিরোধিতাকে ‘শিষ্টাচারবহির্ভূত’ বলা শুরু হয়েছে, সেদিন থেকেই আওয়ামী লীগের মিছিল বড় হতে শুরু করেছে।” তিনি সরাসরি হুঁশিয়ারি দেন, যারা সমঝোতার রাজনীতি করছেন, তারা যেন সতর্ক হন। কারণ, তিনি যদি শিষ্টাচারবহির্ভূত আচরণ শুরু করেন, তাহলে সেটা মেনে নেওয়া সহজ হবে না।
হাসনাত আবদুল্লাহর এসব বক্তব্য বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। তিনি যেখানে সরাসরি বিদেশি হস্তক্ষেপ ও আপসকামীতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, তা দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথের ক্ষেত্রে কতটা প্রভাব ফেলবে, এখন সেটাই দেখার বিষয়।