মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বাধার কারণে গত তিন মাস ধরে ইয়াঙ্গুন শহর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে সীমান্ত বাণিজ্যে মারাত্মক ধস দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে সরকারি রাজস্বেও।
টেকনাফ সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহদুর জানান,“টেকনাফ বন্দর দিয়ে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেতেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে জান্তা বাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতে বাণিজ্য প্রায় বন্ধ। এখন ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য আনতে গেলে আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দিতে হয়।”
সর্বশেষ ১৬ জানুয়ারি ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্যবাহী তিনটি জাহাজ আরাকান আর্মি নাইক্ষ্যংদিয়া সীমান্তে আটকে দেয়। এরপর থেকে পণ্য আমদানি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে ইয়াঙ্গুন অঞ্চল থেকে। রাখাইনের মংডু শহর থেকে সীমিত পরিসরে কাঠ আসছে, তবে তেমন বাধা নেই সেখান থেকে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা সোহেল উদ্দিন বলেন, “রাখাইনের ভেতরে সংঘাত আর সীমান্তে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণের কারণে বাণিজ্য কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে রাজস্ব আদায়ে বড় ঘাটতি দেখা দিয়েছে।”
২০২৩-২৪ অর্থবছরে জুলাই-মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় ছিল ৩৫৬ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছর ছিল ৪০৪ কোটি। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে মাত্র ১০৮ কোটি টাকা। ফলে এই সময়ের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৪৮ কোটি টাকা।
এহেতাশামুল হক বাহদুরের ভাষায়, “আমরা মিয়ানমার সরকারের ট্যাক্স দিচ্ছি, আবার বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে কীভাবে ট্যাক্স দেব? যদি তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় আসে, তাহলে আমরা স্বাভাবিক বাণিজ্য করতে পারবো।”