ঢাকাবৃহস্পতিবার, ১৩ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চট্টগ্রামে অপহরণ মামলায় ভুলভাবে আটক হওয়া রিশতি জামিনে মুক্ত

নিউজ ডেস্ক | সিটিজি পোস্ট
মার্চ ১২, ২০২৫ ৮:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দিয়ে প্যাসিফিক জিন্সের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) আবেদিন আল মামুন অপহরণের ঘটনায় আটক চারজনের মধ্যে রিশতি বিন ইউসুফকে ভুলভাবে আটক করা হয়েছিল বলে আদালতের শুনানিতে উঠে এসেছে।

আজ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এ দীর্ঘ শুনানির পর রিশতি বিন ইউসুফকে জামিন প্রদান করা হয়েছে।

গত দুই সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্নেলহাট সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে আবেদিন আল মামুনকে অপহরণ করা হয়। অপহরণকারীরা তাকে পতেঙ্গা সাগরপাড়, পাহাড়তলীর কর্নেলহাট জোন্স রোড ও আকবরশাহ্ থানার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরায়। এ সময় আবেদিনের গাড়িচালক জুয়েলও জিম্মি ছিলেন। পরে আবেদিনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলি বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ হিসেবে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ১৫ লাখ টাকার একটি ব্যাংক চেক আদায় করে তারা। পাহাড়তলী জোন পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগের যৌথ অভিযানে অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হসপিটালের সামনে থেকে আবেদিন ও জুয়েলকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উত্তর কাট্টলীর নাজমুল আবেদিন, সিটি গেট এলাকার নইমুল আমিন ইমন (২২), সিডিএ ১ নম্বর এলাকার আরাফাত হোসেন ফহিম (২২) ও রিশতি বিন ইউসুফ (২৩)কে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রিশতি বিন ইউসুফকে ভুলভাবে আটক করা হয়েছে বলে আদালতে প্রমাণিত হয়। আজ মামলার শুনানিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, ভিকটিমের স্ত্রী ও ড্রাইভার উপস্থিত ছিলেন। শুনানিতে উঠে আসে, রিশতি বিন ইউসুফ ভিকটিমের স্ত্রী ও ড্রাইভারের অনুরোধে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। ভিকটিমের ড্রাইভার জুয়েলের ভাষ্য অনুযায়ী, অপহরণকারীরা যখন আবেদিন আল মামুনকে গাড়িতে করে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন তিনি একা অসহায় বোধ করায় রিশতিকে গাড়িতে তুলেছিলেন। ভিকটিমের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার লিলি বেগমও আদালতে জানান, রিশতি তাদের আত্মীয় এবং প্রতিবেশী ছিলেন। তিনি সাহায্যের জন্য রিশতিকে ডেকেছিলেন।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে জানান, সিসিটিভি ফুটেজে রিশতিকে অন্যদের সঙ্গে দেখা যাওয়ায় তাকে আসামি করা হয়েছিল। তবে মামলার তদন্ত এগোনোর পর সব তথ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করে মনে হচ্ছে, রিশতি আসলেই ভিকটিমের পরিবারের সহযোগিতার জন্যই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং রিশতি বিন ইউসুফকে জামিন প্রদান করেন। অন্যদিকে, বাকি তিন আসামীর এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

এদিকে, রিশতি বিন ইউসুফের জামিন শুনানিতে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সদস্য শামসুল আলমসহ উত্তর ফটিকছড়ির বেশ কয়েকজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

এই ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চলমান রয়েছে এবং বাকি আসামীদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।