বিশিষ্ট অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট আসিফ সৈকত তাঁর ব্যাক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন,বিএনপির বিরুদ্ধে মিডিয়া ক্যু হবে অচিরেই।
রবিবার (৯ মার্চ ) আসিফ তাঁর এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এ কথা জানান।
আসিফ তাঁর ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, খুব দ্রুত রাজনৈতিক জট তৈরি হবে , এই জট লালনের আখড়ার সবচেয়ে বয়স্ক সন্ন্যাসীর চুলের জটের চেয়েও পেঁচানো জটিল জট ।
বিশ্বাস অবিশ্বাস আর রাজনৈতিক ব্যাকস্টেবে নতুন নতুন জোট ভাঙ্গবে গড়বে। বিএনপিকে কৌশলে এমবুশড করে দেয়া হবে , বিএনপির বিরুদ্ধে মিডিয়া ক্যু হবে অচিরেই। কারও বাড়ির সামনের বালতি হারিয়ে গেলেও নিউজ হবে – ” ছাত্রদলের কর্মী বালতি নিয়ে লাপাত্তা “মানুষকে বোঝানো হবে একটা বালতির লোভও বিএনপি সামলাতে পারেনা , ক্ষমতায় এলে কি করবে !
আপাতত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক স্টাবলিশমেন্ট সম্ভব না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সেক্ষেত্রে গণবিস্ফোরণ হবে । এই গণবিস্ফোরণ সামলানোর ক্ষমতা ভারতের নেই । মূল দুই দল বিএনপি আর জামাত যেনো নির্বাচনের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারে , দেশে অস্হিরতা তৈরি হয় – এটাই আপাতত মূল মিশন হবে ।
জানাক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ বাকীদলকে সুবিধা করে দেয়া হবে বিএনপিকে এমবুশড করে । তবে এটাও ধ্রুব সত্য বিএনপিকে মাইনাস করে দেয়া অসম্ভব । বিএনপিকে কোনঠাঁসা করে দিয়ে আসন সংখ্যা সর্বোচ্চ কতোটুকু কমিয়ে আনা যায় – এটাই টার্গেট হবে, সাথে বিএনপির মারাত্মক ইমেজ সংকট তৈরি করতে তৎপর থাকবে ওপারের খেলোয়াড়রা ।
আপাত দিক থেকে বিএনপির এই এমবুশড পরিস্হিতি জামাতের জন্য সুবিধা হলেও দীর্ঘমেয়াদে গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্হ হবে। বিএনপি ঠেকাতে জামাতের সাথে জানাক + বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দেলনকে জোটবদ্ধ হওয়ার ফর্মূলাও আসতে পারে এপার বা ওপার থেকে।
তিনি তাঁর পোস্টে আরো জানান, জামাত যদি বিএনপির সাথে আলোচনা করে ভোটের দিনক্ষণের বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারে , সেটা জামাতের ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য স্মুথ হবে বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত। কারণ পার্লামেন্টে জামাত প্রধাণ বিরোধী দল হলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে বিএনপি জামাত দুই দলই ভারতকে ছাড় দিবেনা । কারণ দুই দলের তৃণমূলের মারাত্মক চাপ বলবৎ থাকবে দলদুটোর নীতি নির্ধারকদের উপর।
এই ঐক্য দিয়ে সংবিধান সংশোধন , জুলাই গণহত্যার বিচার , বিডিআর গণহত্যা সহ সকল মজলুম এবং রাজপথে শহীদদের সাথে হয়ে যাওয়া প্রতিটা আওয়ামী ইনজাস্টিজের বিচারের পথকে প্রশস্ত করবে।
ভারত কি চাইবে এই ঐক্যে বিএনপি জামাত পৌঁছাক ? নিশ্চিতভাবেই না। তারা বিএনপি জামাতের ভারতপন্থী উইং গুলোকে একটিভ করে দেবে , একেক নেতা একেক কথা বলা শুরু করবে , সিদ্ধান্তহীনতা তৈরি হবে জনমনে। এই সুযোগেই শাহবাগী নট নটি , আম্লীগের প্রতাত্মারা কেওয়াজ তৈরি করে সরকারকে আনস্টেবল করে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে । হেফাজতসহ ইসলামিক দলগুলোকে অহেতুক উসকে দেয়া হবে , তারা রাজপথে নেমে এলেই ভারতের পোয়া বারো !
সেই সময়ে ২/৩ টা জঙ্গী হামলা বা স্যাবোটেজ ঘটিয়ে ইসলামিক দলগুলোর উপর দায় চাপানোর সর্বোচ্চ চেষ্টাও চলবে।কুল হেডে ভাবুন , কোন পথে হাঁটবেন ।পদে পদে লাল সবুজের পতাকা নিয়ে ষড়যন্ত্র চলমান ।দিনশেষে ভাইয়ে ভাইয়ে অবিশ্বাস , আর ক্ষমতার মোহের ভুল চালে অস্তমিত হয়ে যেতে পারে সম্ভাবনার সূর্য্য।জলপাই বাগানের দিকে হাঁটবে এই অভাগা জাতিদূরে দেখা যাবে সিকিম ……….
শেষে আসিফ উল্লেখ করেন ( ব্যক্তিগত এনালাইসিস বা সম্ভাবনা , মনে রাখবেন – সম্ভাবনা শব্দটাই আনপ্রেডিক্টেবল)