চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশের দরিদ্রতম পরিবারগুলো মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবায় সরকারি সুবিধার ২০ শতাংশও ভোগ করতে পারে না। দরিদ্র জনসংখ্যার চাহিদা পূরণের জন্য সরকারের সম্পদ বরাদ্দও অপর্যাপ্ত। তাই বৈষম্য কমাতে স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। সেজন্য বাজেটের একটা অংশ সেখানকার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। এ কারণে দেশের স্বাস্থ্য খাতে সরকারি বরাদ্দ বাড়াতে হবে। তাছাড়া চট্টগ্রাম মেডিকেলে ডেন্টাল ইউনিট আলাদা হওয়া উচিত। বার্ন ইউনিট নিয়ে যেন কোন ষড়যন্ত্র করা না হয়।
তিনি বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলার কারণেই মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে এবং হাসপাতালে রোগীদের চাপ বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালে রোগী বেশি ডাক্তার কম, এত বেশি রোগীকে সেবা দিতে পারে না। অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালেও তারা প্রত্যাশিত সেবা পায় না। এর সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে, বাংলাদেশ একটি অস্বাস্থ্যকর জাতিতে পরিণত হচ্ছে এবং চিকিৎসা সেবার নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি বিদ্যাপীঠ। যেহেতু এখান থেকে আমি গ্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, এটার প্রতি অনুভূতি আলাদা। তাই এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যেকোনো কাজে যদি কিছু সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারি, তাহলে এটাতে অত্যন্ত কৃতার্থ থাকবো। আমি মেয়র হিসেবে বেশ কয়েকবার মেডিকেলে এসেছি। এখানে বেশ কিছু সমস্যা আছে। ইতোমধ্যে একটি সমস্যা সমাধান হয়েছে। আরেকটি পার্কিং সমস্যা আছে। অনতিবিলম্ব পার্কিংয়ের যে সমস্যা আছে, সেটা সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়া আর কোনো যদি সমস্যা থাকে সেগুলোও খুব দ্রুত সমাধান করা হবে।
তিনি বলেন, গত ১৪-১৫ বছর হয়তো অনেক সময় আমন্ত্রণও আমরা পাইনি। তবে আজকে ভালো লাগছে সবাই মিলে একসাথে ইফতার করছি। একসাথে ইফতার করার আনন্দটাই আলাদা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও ডা. সৈয়দ মাহতাব উল ইসলামের পরিচালনায় রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা করেন ইসলামী ব্যাংকের শরিয়া বোর্ডের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন ফারুক। এতে উপস্থিত ছিলেন চমেক ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর এনডিএফের সভাপতি ডা. একেএম ফজলুল হক, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, মহানগর ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার লিটন, পেশাজীবি নেতা ডা. ইমরান বিন ইউনুস, ডা. এটিএম রেজাউল করিম, ডা. আবদুল আলিম, ডা. আবুল ফয়েজ, ডা. আব্বাস উদ্দীন, ডা. নাসের, ডা. আনোয়ার হোসেন, ডা. মো. ইউসুফ, ডা. মোতালেব, ডা. সফিউল হাসান, ডা. আবুল কাশেম, ডা. অংশু প্রু মারমা, ডা. তারেক, ডা. জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ