ঢাকাশনিবার, ২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশের গোয়েন্দা সংস্থার যারা রাতের ভোট আয়োজনে কলকাঠি নেড়েছিলেন

Link Copied!

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাতে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরা ও নানা অনিয়মের ঘটনা ঘটে। সেই অনিয়মের পেছনে বিভিন্ন জেলায় কর্মরত তৎকালীন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) পদে কর্মরত ছিলেন তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত। তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করাসহ আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা ইউনিটের সহযোগিতায় ইতোমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনুসন্ধান শুরু করেছে।  

সংস্থাটির এই অনুসন্ধানে রাতের ভোট আয়োজনে ডিসি এবং এসপিদের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তাদের নাম উঠে এসেছে। ওই সময়ে গোয়েন্দা সংস্থা দুটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও জেলা ডিটাচমেন্টের দায়িত্বে যে সকল কর্মকর্তা ছিলেন তাদেরকেও অনুসন্ধানের আওতায় আনা হচ্ছে। এ কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

প্রতিবেদকের হাতে আসা একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এবং সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওইসব কর্মকর্তাদের মধ্যে একজন হলেন এনএসআইয়ের ব্রিগেডিয়ার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা। এই কর্মকর্তা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকর খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি বর্তমানে এনএসআইতে আওয়ামী লীগপন্থি কিছু গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাকে আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অনেকের নাম আছে বদলি আদেশেও। তবে তৎকালীন যুগ্ম পরিচালক এবং অতিরিক্ত পরিচালকদের অধিকাংশকে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশালে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদের মধ্যে অতিরিক্ত পরিচালক এমএসকে শাহিন ও ইউসুফ হালদারকে সীমান্ত উইং- এনএসআই, ঢাকা, অতিরিক্ত পরিচালক সুফিয়া বেগম (বর্তমানে ইকোনমিক সিকিউরিটি উইং, এনএসআই ঢাকায় কর্মরত, বদলি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, এনএসআই, ঢাকা), অতিরিক্ত পরিচালব শামিমা চৌধুরী বিমানবন্দর, রাজশাহী, অতিরিক্ত পরিচালক বদরুল হাসান চৌধুরী বিভাগীয় এনএসআই রাজশাহী এবং অতিরিক্ত পরিচালক মনসুর আহমেদ বিপ্লব বর্তমানে ফরিদপুর জেলায় সংযুক্ত আছেন।

এনবিআর বলছে, ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট জেলা/ডিটাচমেন্টের দায়িত্বে এনএসআই এবং ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি হিসেবে যে সকল কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিলেন তাদেরও এই অনুসন্ধানের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা খুবই যুক্তিসংগত বলে মনে করে সংস্থাটি। কারণ তখন রেড ফোন ব্যবহার না করার শর্তে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনএসআই এবং ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধির মাধ্যমে সকল প্রকার নির্দেশনা প্রদানসহ তথ্যের প্রবাহ/বিতরণ ইত্যাদি সমন্বয় নিশ্চিত করতেন বলে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের আওয়ামী লীগ-মনা বিশেষ কিছু সামরিক কর্মকর্তাকে দেশের অঞ্চল ভিত্তিক দায়িত্ব দিয়ে কিছু সংখ্যক আওয়ামী লীগ-মনা এনএসআই কর্মকর্তাকে সে সময় সংশ্লিষ্ট ডিসি-এসপিদের সঙ্গে সার্বিক সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্বাচনের সপ্তাহখানেক  আগে থেকেই দেশের সব জেলায় দায়িত্বে নিয়োজিত পেশাদার/দেশপ্রেমিক এনএসআই কর্মকর্তাগণকে সংশ্লিষ্ট জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি প্রদান না করে, অত্যন্ত অনৈতিক ও অন্যায়ভাবে তাদের জুনিয়র আওয়ামী লীগের অনুগত ও ছাত্রলীগের পোর্টফলিও লিডার সহকারী পরিচালক/উপপরিচালকদের দিয়ে প্রাসঙ্গিক জেলা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এমনকি একপর্যায়ে সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকর্তাদের মধ্যে যারা আওয়ামী মনোভাব পোষণ করেন না তাদের নির্বাচনের ৩ মাস আগে স্ব স্ব বিভাগীয় কার্যালয়ে সংযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম থেকে দূরে রাখা হয়েছিল।

জানা যায়, নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক আগে থেকে প্রায় ৪০/৫০ জন জেলা এনএসআই কর্মকর্তাকে উল্লেখিত জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয় হতে প্রত্যাহার করে ঢাকাস্থ এনএসআই প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কার্যালয়ে ওএসডি করে রাখা হয়। যদিও নির্বাচন শেষে যথারীতি স্ব স্ব কার্যালয়ে তাদের ফেরত পাঠানো হয়। অন্যদিকে, নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করা সব কর্মকর্তাকে নির্বাচনের পর প্রাইজ পোস্টিং, আর্থিক সুবিধাপ্রদান, বিদেশে পোস্টিং, বিদেশ ভ্রমণসহ বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়।

২০১৮ সালের রাতের ভোটের সময় অতি উৎসাহী এবং তৎকালীন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নিয়ন্ত্রণে থেকে নির্বাচনী কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী এনএসআইয়ের ওইসব কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। রাতের ভোট আয়োজনে ডিসি ও এসপিদের বিরুদ্ধে এনবিআরের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা প্রতিবেদনে পেশাদার ওই অতি উৎসাহী গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ডিসি-এসপিদের মতো একই ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

গোয়েন্দা ওই প্রতিবেদনে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে নির্বাচন প্রভাবিত করা কর্মকর্তাদের বিস্তারিত তথ্য উঠে এসেছে।

ময়মনসিংহ বিভাগ

ময়মনসিংহ বিভাগে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাকির পরিচালক হিসেবে এবং  ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) মো. ওবায়েদুল ইসলাম যুগ্ম পরিচালক হিসেবে দাযিত্ব পালন করেন।  ওবায়েদুল ইসলাম জেলা ভিত্তিক দায়িত্বের ক্ষেত্রে ময়মনসিংহ জেলার দায়িত্বে যুগ্ম পরিচালক হিসেবে ছিলেন।

শেরপুর জেলায় উপ-পরিচালক অপু কুমার ভৌমিক, জামালপুর জেলায় উপ-পরিচালক ইফতেখারুল আলম ও রাইয়ান রাজ্জাক। নেত্রকোনা জেলায় উপ-পরিচালক রুবেল আলম ও এরফান হোসেন।

ঢাকা বিভাগ

ঢাকা বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত আইজিপি), অতিরিক্ত পরিচালক জামাল উদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন। মানিকগঞ্জ জেলায় উপ-পরিচালক ওয়াসিম, নরসিংদী জেলায় উপ-পরিচালক রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ জেলায় উপ-পরিচালক তৌহিদ, মুন্সীগঞ্জ জেলায় উপ-পরিচালক আব্দুল বাতেন, কিশোরগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক নুসরাত জাহান, টাঙ্গাইল জেলায় যুগ্ম পরিচালক সমিরন হালদার এবং গাজীপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক পারভেজ মাহমুদ।

এ ছাড়া ঢাকা মহানগরে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ভোট কারচুপির জন্যও বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন এনএসআইয়ের তৎকালীন পরিচালক (প্রশাসন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাকিব উল্লাহ। তার সহকারী হিসেবে ছিলেন এনএসআইয়ের তৎকালীন ঢাকা সিটি ইন্টারনাল অপারেশনের প্রধান কর্নেল খালিদ। এই দলের অপর সদস্যরা— উপ-পরিচালক শাহিন সিদ্দিকী ও যুগ্ম পরিচালক আরিফ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নির্বাচনের পরদিন ডিজি মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের উপ-পরিচালক শাহিন সিদ্দিকী এবং যুগ্ম পরিচালক আরিফকে দুই ব্রিফকেস ভর্তি টাকা দিয়েছিলেন। সে সময় এই  দুজনই সবার সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন।

রাজশাহী বিভাগ

রাজশাহী বিভাগে পরিচালক হিসেবে সার্বিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নুরুন্নবী পিএসসি। বিভাগের নওগাঁ জেলার ফোকাল পয়েন্ট ছিলেন যুগ্ম পরিচালক সমীরণ হালদার ও উপ-পরিচালক অলি উর রহমান। তারা দু’জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। জয়পুরহাট জেলার দায়িত্ব এবং ফোকাল পয়েন্ট ছিলেন উপ-পরিচালক মাহফুজুর রহমান। এ ছাড়া সহকারী পরিচালক ফরিদুল আলম চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

পাবনা জেলার দায়িত্বে ছিলেন উপ-পরিচালক মোস্তফা কামাল, ফোকাল পয়েন্ট যুগ্ম-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। রাজশাহী জেলার ফোকাল পয়েন্ট উপ-পরিচালব আজিজুর রহমান। রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন ( বর্তমানে বিভাগীয় এনএসআই রংপুরে বদলি হয়েছেন) অতিরিক্ত পরিচালক শহীদুল ইসলাম।

বগুড়া জেলার দায়িত্ব ও ফোকাল পয়েন্ট ছিলেন উপ-পরিচালক মোজাহারুল ইসলাম মামুন, সিরাজগঞ্জ জেলার ফোকাল পয়েন্টে যুগ্ম পরিচালক জি এম আলিমউদ্দিম ও উপ-পরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। নাটোর জেলার দায়িত্ব এবং ফোকাল পয়েন্টে উপ-পরিচালব মো. ইকবাল এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার দায়িত্ব এবং ফোকাল পয়েন্টে উপ-পরিচালক আসাদুল হক পারভেজ।

চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকা

২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। একটি ভাগে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন কমোডোর শাহীনুর রহমান, অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী হাওলাদার (সীমান্ত উইং, এনএসআই,ঢাকা), যুগ্ম পরিচালক বদরুল আহমেদ, উপ-পরিচালক নির্ঝর আলম সামা।

অন্যদিকে, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- কমোডোর নুরুল আবসার (বর্তমানে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান), অতিরিক্ত পরিচালক মো. জহির উদ্দিন শামীম।

চট্টগ্রাম জেলায় যুগ্ম পরিচালক জাহিদুল ইসলাম ও আশরাফুল ইসলাম। চট্টগ্রাম মেট্রোতে যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আলী ও আশিকুর রহমান। কুমিল্লা জেলায় যুগ্ম পরিচালক মুজিবুর রহমান, চাঁদপুর জেলায় উপ-পরিচালক আরমান, লক্ষ্মীপুর জেলায় উপ-পরিচালক মানিকচন্দ্র দে, নোয়াখালী জেলায় যুগ্ম পরিচালক ফারুক আহমেদ, ফেনী জেলায়  যুগ্ম পরিচালক মতিউল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় উপ-পরিচালক আবু রায়হান।

বরিশাল বিভাগ

বরিশাল বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন পরিচালক মেজবাহ উদ্দিন (অতিরিক্ত আইজিপি, বর্তমানে অবসর), যুগ্ম পরিচালক মো. মাসুদ আলম। জেলা ভিত্তিক দায়িত্বের ক্ষেত্রে—বরিশাল জেলায় যুগ্ম পরিচালক খন্দকার মাহবুবুর রহমান (বর্তমানে সিলেটে পোস্টিং), যুগ্ম পরিচালক মোর্শেদ আলম (মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন), উপ-পরিচালক শফিক আহমেদ, পটুয়াখালী জেলায় যুগ্ম পরিচালক শরিফুল ইসলাম (বর্তমানে টাঙ্গাইলে কর্মরত), পিরোজপুর জেলায় উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান (স্পেশাল অ্যাফেয়ার্সে আছেন) ইয়াছিন সোহাইল (বর্তমানে গাইবান্ধায় আছেন), বরগুনা জেলায় যুগ্ম পরিচালক নুরুজ্জামান সিদ্দিকী (সীমান্ত উইংয়ে আছেন) ও উপ-পরিচালক জাহিদুর রহমান (রাজবাড়ী আছেন)। ভোলা জেলায় যুগ্ম পরিচালক আবু জাফর সিদ্দিক টিটু, উপ-পরিচালক মশিউর রহমান, ঝালকাঠি জেলায় যুগ্ম পরিচালক আব্দুল কাদের (জয়পুরহাট জেলায় আছেন)।

সিলেট বিভাগ

সিলেট বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সিলেট জেলায় যুগ্ম পরিচালক নজরুল ইসলাম, উপ-পরিচালক নাজমুল হক তমাল, সুনামগঞ্জ জেলায় উপ-পরিচালক তরিকুল ইসলাম, মৌলভীবাজার জেলায় উপ-পরিচালক রাসেল জমাদার ও ফাহমি। হবিগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক ননী গোপাল দাস। তারা নির্বাচনকালীন সংশ্লিষ্ট জেলায় এনএসআইয়ের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছেন

আর নির্বাচনে সার্বিক দায়িত্ব পালনে পরিচালক হিসেবে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রকিব উল্লাহ এবং অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর হোসেন ও বদরুল হাসান (বর্তমানে বিভাগীয় এনএসআই রাজশাহীতে সংযুক্ত)।

ফরিদপুর বিভাগ

ফরিদপুর বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তারা হলেন—ফরিদপুর জেলায় উপ-পরিচালক তৈয়বুল মাওলা, রাজবাড়ী জেলায় যুগ্ম পরিচালক শরিফুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ জেলায় যুগ্ম পরিচালক নোমান (বর্তমানে পাকিস্তানস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত)। শরীয়তপুর জেলায় উপ-পরিচালক সুমন বিশ্বাস ও মিজানুর রহমান। মাদারীপুর জেলায় উপ-পরিচালক সাইফুল ইসলাম লিটন ও আনিসুর রহমান। তারা নির্বাচনকালীন সংশ্লিষ্ট জেলায় এনএসআইয়ের ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। সার্বিক দায়িত্ব পালনে পরিচালক হিসেবে ছিলেন কর্নেল মিসবাহ (বর্তমানে প্রেষণে দিল্লিস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে কর্মরত) এবং অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা শুভ।

খুলনা বিভাগ

খুলনা বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ, ডিসি-এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাতে যারা কাজ করেছিলেন তারা হলেন—খুলনা জেলায় উপ-পরিচালক এস কে সাইলক হোসেন, যুগ্ম পরিচালক রাসেল রানা এবং খুলনা মেট্রো এস এম আরিফুল ইসলাম (বর্তমানে ডিজি শাখায় কর্মরত)। সাতক্ষীরা জেলায় উপ-পরিচালক মোজাম্মেল হক, যশোর জেলায় যুগ্ম পরিচালক গাজী নাছির মাহমুদ, নড়াইল জেলায় যুগ্ম পরিচালক কবির আহমেদ ও মিজানুর রহমান।

মাগুরা জেলায় যুগ্ম পরিচালক জি এম জামিল সিদ্দিক ও শরিফুল ইসলাম। ঝিনাইদহ জেলায় যুগ্ম পরিচালক আনিসুর রহমান ও অমিত বড়ুয়া। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সহকারী পরিচালক এবিএম লুৎফুল কবীর, মেহেরপুর জেলায় মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, কুষ্টিয়া জেলায় যুগ্ম পরিচালক আলমাস হোসেন (বর্তমানে কলকাতায় আছেন), বাগেরহাট জেলায় উপ-পরিচালক বিশ্বজিৎ {বর্তমানে ঢাকা উইং এনএসআই (বদলি-জেলা এনএসআই খুলনা)}।

সার্বিক দায়িত্বে পরিচালক হিসেবে ছিলেন কর্নেল মোস্তফা (বর্তমানে অবসর) ও অতিরিক্ত পরিচালক গোলাম মোস্তফা শুভ এবং খুলনা ডিভিশন ইনচার্জ অতিরিক্ত পরিচালক জালালউদ্দিন বিশ্বাস।

রংপুর বিভাগ

রংপুর বিভাগে নির্বাচনী গোপন বৈঠক, টাকা বিতরণ ও ডিসি এসপিদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে যারা কাজ করেছিলেন, তারা হলেন—পরিচালক হিসেবে ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মতিন, অতিরিক্ত পরিচালক মো. আশরাফুল কবীর (বর্তমানে হযরত শাহাজালল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, এনএসআই) {বদলি-বর্তমানে বহিঃ সম্পদ ও সংযোগ এনএসআই ঢাকা, সং-চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর , চট্ট: মেট্রো}, রংপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক মো. ফিরোজ কবীর মাহমুদ, উপ-পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন, তানভীর হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. বোরহান উদ্দিন ভূঞা।

কুড়িগ্রাম জেলায় যুগ্ম পরিচালক শাহ সূফী নূর নবী সরকার ও সহকারী পরিচালক মুহাম্মাদ হাফিজুর রহমান। লালমনিরহাট জেলায় সহকারী পরিচালক এটিএম কামাল হোসেন, রেফায়েত উল্লাহ, আসিফ মনোয়ার (বর্তমানে চাকরিচ্যুত)। গাইবান্ধা জেলায় উপ-পরিচালক মো. ফরহাদ হোসেন, ঠাকুরগাঁও জেলায় সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান, পঞ্চগড় জেলায় সহকারী পরিচালক মো. তায়জুল ইসলাম, নীলফামারী জেলায় উপ-পরিচালক মো. খালিদ হাসান এবং দিনাজপুর জেলায় যুগ্ম পরিচালক শেখ গোলাম মোস্তফা।