চেরাগি পাহাড়ে ইতিহাস গড়তে গিয়েও শেষরক্ষা হলো না শেখ হাসিনার। স্টুডেন্টস এলায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি (স্যাড), চট্টগ্রাম মহানগর, ঠিক করেছিল—যে নেতা ভোট চুরি করে, গুম-খুন করে, তাকে আর ভাষায় অপমান করে কী লাভ? এবার বরং প্রতীকী কিছু করা যাক! তাই শহরের প্রাণকেন্দ্রে শেখ হাসিনার বিশাল এক ব্যানার টাঙিয়ে জনগণ গর্জে উঠল— জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি!
জুতাগুলো যথারীতি ছুটল, গণবিক্ষোভের প্রতীক হয়ে আছড়ে পড়ল ব্যানারের গায়ে। শুধু তাই নয়, যেন গণতন্ত্রের নিদর্শনস্বরূপ, পরপর চারটি জুতা ব্যানারের গলায় মালার মতো ঝুলিয়ে দেওয়া হলো— যেন ইতিহাস সাক্ষী থাকে, কীভাবে একনায়কের পতন আসে!
কিন্তু হাসিনার কর্মীরা তো আর গণতন্ত্র বোঝে না, চুরি করতে করতে এদের এখন অভ্যাস হয়ে গেছে। তাই রাতের আঁধারে ব্যানারটাকে তুলে নিয়ে গেল! তবে চুরির এতেও থামল না— সঙ্গে সেই চার জোড়া জুতাও উধাও!
এ নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক মহলে তুমুল হাস্যরস। স্যাড চট্টগ্রামের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সাজিদ তীব্র ক্ষোভ নিয়ে বলেন, “গণহত্যাকারীর ব্যানার সরিয়ে তো নিল, কিন্তু জুতাগুলো গেল কোথায়? এখন কী, ফ্যাসিবাদীরা এতটাই নিঃস্ব যে মানুষের পরিত্যক্ত জুতা চুরি করতেও লজ্জা পায় না?”
আরেক স্যাড মহানগর সদস্য ফ্যাসিবাদের নতুন সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বললেন, “এতদিন জানতাম, ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতায় থাকলে শোষক হয়, কিন্তু এবার দেখলাম— ক্ষমতা গেলে তারা জুতাচোরও হয়ে যায়!”
এদিকে চার জোড়া জুতা এখন কোথায়, তা নিয়ে নগরবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ। কেউ বলছে, এই জুতা চোরেরা রাতে নিজেরাই পায়ে গলিয়েছে, কেউ বলছে, হয়তো ব্যানার আর জুতার জন্য একটা নতুন গুমখানার দরকার হয়েছে। তবে ভোট চুরির পর এখন জুতা চুরির নতুন ঐতিহ্য শেখ হাসিনা ও তার দালালরা শুরু করল, এতে কোনো সন্দেহ নেই।