‘কাউন্সিলরদের পুনর্বাসন করা মানে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক এসব কাউন্সিলরদের জন্য এখন যারা মায়া কান্না দেখাচ্ছেন তারা যেন জুলাই-আগস্টের হত্যার কথা ভুলে না যান। মনে রাখতে হবে তাদের জন্য দরদ দেখানো মানে দেশ ও জাতির সাথে বেঈমানি করা।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশবিরোধী অপতৎপরতা, সাবেক কাউন্সিলরদের পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে’ এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, অবিলম্বে নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। দ্রুত নির্বাচন না দিলে রাজপথে আন্দোলন হবে। দেশে অরাজকতা, অন্যায় ও দুর্নীতি রুখতে নির্বাচনের বিকল্প নেই।
এসময় তিনি আরও বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের উপর আমাদের এখনও আস্থা আছে। কিন্তু তারা প্রতিনিয়ত ভুল করছে। যার কারণে আমাদের ঐক্যে ফাটল ধরেছে। ঐক্যের সংগ্রামী চেতনা অটুট না থাকলে আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের শত্রুরাই বেশি খুশি হবে। দ্রুত নির্বাচন দিলে জনগণ সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম।
উপস্থিত ছিলেন, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহাসান হাবিব লিংকন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মুহাম্মদ ফারুক রহমান প্রমুখ।
সোর্স : আমার দেশ