প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের তথাকথিত ভিসি অধ্যাপক ড. অনুপম সেন, যিনি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় তোষামোদ আর শিক্ষার্থীদের দমন নীতির জন্য কুখ্যাত, আজ (৬ ডিসেম্বর) পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। যিনি এতদিন নিজেকে ক্ষমতার অলৌকিক অভিভাবক ভেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের ব্যক্তিগত রাজত্ব মনে করেছিলেন, তিনি অবশেষে শিক্ষার্থীদের অদম্য চাপের মুখে নিজের মুখ লুকাতে বাধ্য হলেন।
অনুপম সেন, যিনি শিক্ষার্থীদের ভাষায় এক ‘প্রাতিষ্ঠানিক গর্দভ’, তার সঙ্গে প্রশাসনের আরও পাঁচজন সদস্য পদত্যাগ করেছেন। এই পাঁচজনের মধ্যে রয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী শামীম সুলতানা এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. তৌফিক সাইদ, যাদের ভূমিকা শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি এক নির্মম ব্যঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি দলীয় লেজুড়বৃত্তির মঞ্চে পরিণত করার গুরুদায়িত্ব পালনকারী অনুপম সেনের বিদায় শিক্ষার্থীদের চোখে এক দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মুক্তির সোপান। শিক্ষার্থীদের মতে, “অনুপম সেন শিক্ষার মানোন্নয়নের চেয়ে নিজের চেয়ার বাঁচানোতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন।”
একজন শিক্ষার্থী কটাক্ষ করে বলেন, “উনি এতদিন প্রশাসন পরিচালনা করেননি, বরং ক্ষমতার আরামদায়ক সোফায় বসে বিশ্ববিদ্যালয়কে তছনছ করেছেন। আমাদের আন্দোলন তাকে সেই সোফা থেকে নামিয়ে দিয়েছে।”
পদত্যাগপত্রে সেন সাহেব তার তথাকথিত ‘দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন’ করার দাবি করলেও শিক্ষার্থীরা তা মিথ্যাচার এবং সস্তা নাটক বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, “উনি দায়িত্ব পালন করেছেন শুধু নিজের স্বার্থরক্ষার। তার বিদায়ে আমরা এক গর্দভমুক্ত পরিবেশের স্বাদ পেয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ এখন একধরনের শূন্যতায় ভাসছে, তবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের মিছিল আর বিদ্রূপের হাসি সেই শূন্যতাকে ম্লান করেছে। এখন প্রশ্ন, অনুপম সেনের এই পরাজয় কি সত্যিকার পরিবর্তনের সূচনা, নাকি পুরনো গৌরচন্দ্রিকার নতুন মোড়?
একটা বিষয় নিশ্চিত—একদলীয় প্রভাব আর অযোগ্য প্রশাসকদের দিন গুনতে হবে। শিক্ষার্থীরা বলছে, “এই বিদায় শুধু শুরু। পুরো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দলীয় দালালদের মুছে দিতে হবে।”
সময়ের অপেক্ষা, কে আসবে নতুন মুখোশ পরে—আর শিক্ষার্থীরা কীভাবে তাদের প্রতিরোধ চালাবে।