ঢাকায় অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে গেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যান। বিএনপি চেয়ারপার্সনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “দুপুর ২টা ২৫ মিনিটের দিকে বেগম খালেদা জিয়া তার বাসা থেকে বের হন। এরপর তিনি মার্কিন দূতাবাসে যান।”
জানা গেছে, বেগম খালেদা জিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মেগান বোল্ডিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য বায়োমেট্রিক প্রিন্ট ফিঙ্গার দেবেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের সদস্য এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক মামুন আছেন।
বিএনপির একটি সূত্র জানায়, চিকিৎসার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্য ও তারপর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ডা. জাহিদ হোসেন জানান, বেগম জিয়ার শারীরিক সুস্থতার ওপর নির্ভর করে অতি দ্রুত তাকে বিদেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
অধ্যাপক জাহিদ উল্লেখ করেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হবে।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি, হৃদরোগ, লিভার সিরোসিসসহ নানা রোগে ভুগছেন।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেয় তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। তারপর থেকে তখনকার আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে অনুমতি চেয়ে একাধিকবার আবেদন করে তার পরিবার। কিন্তু প্রতিবারই আইনের অজুহাত দিয়ে অনুমতি দেয়নি সরকার।
এদিকে, বুধবার দুপুরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন আদালত।