অন্তবর্তী সরকারের ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মসজিদে নববীর আদলে গড়ে তোলা হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেছেন বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদটি মুঘল স্থাপত্যের একটি অনন্য নিদর্শন। এখানকার মুসল্লিদের আকাঙ্ক্ষাকে বিবেচনায় রেখে এ মসজিদটিকে একটি আইকনিক মসজিদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘মসজিদটি প্রায় ৪০০ বছরের পুরাতন। এটি ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই মসজিদের মূল ভবনটি অবিকৃত রেখে উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা যায় কি না সে বিষয়ে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘মসজিদের জায়গার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা যাতে করা যায় সেভাবে নকশা প্রণয়ন করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কুয়েত চ্যারিটি ফান্ড হতে প্রাপ্ত ১০ কোটি টাকা মন্ত্রণালয়ের তহবিলে জমা আছে। এ টাকা দিয়েই কাজ শুরু করা হবে। এর বেশি টাকা দরকার হলে সেটা ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে সংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।’
ড. খালিদ বলেন, ‘মসজিদের নকশা প্রণয়নের জন্য স্থাপত্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে স্থাপত্য অধিদপ্তর থেকে সয়েল টেস্ট ও ডিজিটাল সার্ভে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নকশা প্রণয়নের কাজ শেষ হবে এবং আসছে জানুয়ারি এ মসজিদের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
এসময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু আহসান, ইমাম প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমির উপপরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সৈয়দ মো. আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরী আল-মাদানী, মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. আনোয়ারুল হক, মুসল্লী পরিষদের সভাপতি সালাউদ্দিন কাসেম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে উপদেষ্টা আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন। এতে উপদেষ্টা ইসলামের কল্যাণে ধর্ম মন্ত্রণালয় কর্তৃক সম্প্রতি গৃহীত ও বাস্তবায়িত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন।’