জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে স্বাধীন করার মাধ্যমে অর্জনে অমর হয়ে থাকবেন জাতীয় সংসদ সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে তার ক্ষমতা ও শেখ অমর হবে।
একাদশ সংসদ সংসদের অষ্টেদশ অধিবেশনে পদ্মা সেতু নির্মাণে সাধারণ মালিককে সমর্থন দেওয়া এক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সর্বনাশা পদ্মায় সেতু হতে পারে, এটা কেউ বিশ্বাস করবে। শেখর কারণ জয় হয়েছে। এ রকম কেউ বেশি দিন থাকবে না। আমরাও থাকব না। কিন্তু একটা কথা বলতে পারি, যতদিন এ পদ্মা সেতু থাকবে, টালিদিন দেশের ইতিহাস থেকে শেখের নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবেন না। এ সেতুর মাধ্যমে তিনি ইতিহাসে অমর থাকবেন। যতদিন এ থাকবে, ইতিহাস থেকে নেতার নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবে বাংলাদেশ না।
তিনি বলেন, আজ বাদশাহ শাহজাহান নেই। কিন্তু তার অমর সৃষ্টি তাজমহল আছে। বিশ্ববাসী যখন তাজমহল দেখতে যায়, তখন বলা হয় এটা বাদশাহ শাহজাহানের অমর সৃষ্টি। মোঘল সাম্রাজ্যে অনেক বাদশাহ ছিল। কিন্তু তাজমহল তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। দেশ স্বাধীন, সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছাসহ নিজের সব ইচ্ছা পূর্ণ হয়েছে।
এ সময় পদ্মা সেতু নির্মাণের পরে প্রধানমন্ত্রীর আর কোনো ইচ্ছা আছে কি না, জানতে চান এ সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) অনেক কাজ করেছেন। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল বানিয়েছেন। দক্ষিণাঞ্চলের পায়রা বন্দরসহ সবকিছু হয়ে গেছে। ধীরে ধীরে বাকিগুলোও হয়ে যাচ্ছে। আপনার আর কী স্বপ্ন আছে তা জানি না। সেটা যদি আপনার বক্তব্যে বলেন।
কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, সর্বনাশা পদ্মা কত মানুষের জীবন যে কেড়ে, তা-ভাষা নেই। ছোট বেলা থেকে পদ্মা নদী পাড়ি দেওয়া মানুষ এ নদী পাড়ি দিতে পরপর পাড়ে থাকতে থাকতে। পুরো দিন যেতো এ নদী পাড়ি দিতে। সেই পদ্মা নদীতে সেতু হবে, এর ওপর দিয়ে গাড়ি পাড়ি দিতে পারব, এটা তো দুঃস্বপ্নের মতো ছিল।
১৯৬৩ সালে তিনি বলেন, আমার মাদরাসা থেকে হুজুর ডেকে আনল। কারণ, আমি পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকায় যাবো। এ সময় আমার বাড়িতে দোয়া ও খাতাম ছিল।
স্পিকের মাধ্যমে সব সংসদ সদস্যকে দক্ষিণ সফরে যাওয়ার আমন্ত্রণ পরিবার তিনি বলেন, আপনাকে (স্পিকার) নিমন্ত্রণ জানাতে, সংসদের সবকে নিয়ে আমাদের নীল অংশ, শাপলা-শালুক ও লাল শাপলার যাবেন। আপনি দেখতে পাবেন। দেখবেন সেই নীল অংশ কত সুন্দর হয়েছে। বাড়ি অপরূপ সৌন্দয্যে করা হয়েছে পদ্মা মেয়রের সাজানো হয়েছে।