পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার বিষয়টি তদারকি করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি যেসব সুবিধা পাবেন তা দিচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার যুক্তরাজ্যে যাওয়ার বিষয়টি তদারকি করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো জানান, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকারের অফিস খোলার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, বিষয়টি পর্যালোচনাধীন রয়েছে। এসময় উপদেষ্টা জানান, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির জুলাই গণহত্যার রিপোর্ট দিতে আরো ১ মাস লাগবে।
এদিকে গতকাল খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নেওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে লং ডিসেটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডন নেওয়া হবে। সেখানে থেকে তাঁকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হবে।’
এসময় তিনি জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বিদেশে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জাহিদ বলেন, ‘অতি দ্রুত যেন ওনাকে বিদেশে মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি হাসপাতালে নিতে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তার অংশ হিসেবে আমরা লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার জন্য কাজ শুরু করেছি, যোগাযোগ চলছে। প্রথমে ম্যাডামকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে স্টেওভারের পরে মাল্টি ডিসেপ্ল্যানারি মেডিকেল সেন্টার যে দেশে আছে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে।’
তিনি জানান, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও চিঠি দেওয়া হয়েছে। জাহিদ বলেন, ‘কারণ ম্যাডামের সাথে চিকিৎসক-নার্সসহ আত্বীয়-স্বজন যারা যাবেন তা জানানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের লিভার ট্রান্সপারেন্ট করতে হবে। এটি যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র দুই-একটি সেন্টার রয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সাথেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’
৭৯ বছর বয়সী সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী লিভার সিরোসিস,হৃদরোগ, ফুসফুস, আর্থ্রাইটিস,কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে আইসিইউতে রেখে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তাঁকে দীর্ঘ সময়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।