খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এক শিক্ষকের গণপিটুনিতে মৃত্যুর ঘটনায় সেখানে পাহাড়ি এবং বাঙালিদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) দুপুরে ঘটে এই ঘটনা।
গণপিটুনিতে মারা যাওয়া ওই শিক্ষকের নাম সোহেল রানা। তার বিরুদ্ধে একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ এনে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা গণপিটুনি দেয়। বেলা ১১ টা থেকে প্রতিষ্ঠান অধ্যক্ষের কক্ষে অভিযুক্ত সোহেল রানাকে অবরুদ্ধ করে রাখে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা।
পরে দুপুর ১ টার পর গণপিটুনি দেয়া হলে ওই শিক্ষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সদর উপজেলা থেকে চেঙ্গী স্কয়ার পর্যন্ত পাহাড়ি বাঙালী দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
দুর্বৃত্তরা এ সময় মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশসহ ৫ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জেলা সদরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের কেউ কথা বলছেন না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নিহত সোহেল রানার বিরুদ্ধে এর আগেও আরেক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। মামলায় অব্যহতি পাওয়ার পর তিনি আবার চাকরীতে ফেরত আসলে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা এর বিরোধীতা শুরু করে প্রতিবাদ জানায়।
মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। আইনশঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পুরো জেলায়।