চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে (চসিক) জনবল নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ও মেধাতালিকার হদিস মিলছে না। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত যান্ত্রিক শাখার ‘সহকারী প্রকৌশলী’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার এক প্রার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করলে বিষয়টি সামনে আসে। পুরো চসিক ভবন ঘেঁটে এসব তথ্য না পেয়ে তলব করা হয়েছে সংস্থাটির তৎকালীন সচিব খালেদ মাহমুদকে।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তাঁকে চসিক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। কয়েক দফা চেয়ার টানাটানির পর চসিক ছেড়ে ওই কর্মকর্তার ঠাঁই হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে। সংস্থাটির পরিচালক পদে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামোভুক্ত সহকারী প্রকৌশলী (পুর/যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ) পদে জনবল নিয়োগের জন্য ২০২২ সালের ২ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা এবং ১৭ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ পদে জনবল নিয়োগ করা হয়। এ বিষয়ে পুনঃ নিরীক্ষণের জন্য সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) পদের একজন পরীক্ষার্থী মেয়র বরাবরে আবদন করেন। এ বিষয়ে সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস হতেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষার মার্কশিট এবং মেধাতালিকা বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা ওই পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল তাদের দেয়া হয়নি বলে জানায়।
দাপ্তরিক প্রধান হিসেবে কাগজপত্র সংরক্ষণ করা সাবেক এ কর্মকর্তার দায়িত্ব উল্লেখ করে চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘নিয়োগ কার্যক্রম সম্পাদন করলে মেধা তালিকা নথিতে থাকা আবশ্যিক হলেও নথিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। দপ্তরের দাপ্তরিক প্রধান হিসেবে এতদসংক্রান্ত কাগজাদি সংরক্ষণ করা আপনার কার্যপরিধিভুক্ত বিষয়ের মধ্যে পড়ে।’
এ বিষয়ে জানতে সাবেক চসিক সচিব, বর্তমানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালক খালেদ মাহমুদের ব্যক্তিগত ও দাপ্তরিক নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলামও সাড়া দেননি মুঠোফোনে।
২০২১ সালের ৯ মার্চ বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন থেকে সচিব হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে আসেন খালেদ মাহমুদ। দায়িত্বপালনকালে বিধি না মেনে নিয়োগ, অবসরের যাওয়ার আগমুহূর্তে বিধি ভঙ্গ করে এক প্রকৌশলীকে পদোন্নতি দেওয়ার ঘটনায় করপোরেশনে সমালোচিত হন তিনি। এছাড়া কয়েকদফা বদলির পরও তাঁর চেয়ার না ছাড়ার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছিল। সবশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চেয়ার ছেড়ে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোতে যান এ কর্মকর্তা।