অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ কত দিন হবে সেটা এখনই বলা না গেলেও এই সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে সরে যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। অল্প দিনের মধ্যেই দেশে একটি স্থিতিশীলতা আসবে এবং তখন এই সরকার কত দিন থাকবে সেটা বলা যাবে বলে জানান এই উপদেষ্টা।
রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অডিটোরিয়ামে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের মেয়াদসংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা আমাদের প্রথম কাজ। সেটা সাত দিন লাগতে পারে, ১৫ দিন লাগতে পারে, দুই মাসও লাগতে পারে। স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পর হয়ত এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাবে। কোন কোন সমস্যা হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে, আইনগতভাবে সেগুলোকে দেখতে হবে। দেখার পর সংশ্লিষ্টরা ঠিক করবে সেই জিনিসগুলো মেরামত করতে কত দিন লাগবে। তারপর মেয়াদ সম্পর্কে বলা যাবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন করতে হবে অবশ্যই, সরকার নির্বাচনের মাধ্যমেই সরে যাবে। তার আগে এখনই বলতে পারছি না ঠিক কবে হবে। এটা নিয়ে আপাতত কথা না বলি, আমরা কিছুদিন অপেক্ষা করি। একটা স্ট্যাবিলিটি আসুক, সরকারের পক্ষ থেকে একটা প্রোগ্রাম আসুক এই এই কাজটা করতে হবে।
তৌহিদ বলেন, আমরা দেশকে স্বর্গ বানিয়ে যেতে পারবো না, সে ধরনের উচ্চাভিলাস কারোই নেই। কিন্তু আমরা চাচ্ছি যারা বিপ্লব সাধন করেছে তাদের কিছু দাবি দাওয়া আছে, তাদের কিছু শর্ত আছে। তাতে অযৌক্তিক কিছু বলেনি, সেই পথটুকু দেখাতে হবে
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে তৌহিদ হোসেন জানান, সোমবার সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সংখ্যালঘুদের ওপর কিছু আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে রাজনৈতিক কারণেও ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হয়ত আগামীকালই সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে বৈঠক বসবেন প্রধান উপদেষ্টা। কোনো ধর্মীয় কারো ওপর নির্যাতন হলে তার তদন্ত ও বিচার সুনিশ্চিত করা হবে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারত ও আমেরিকাসহ সব দেশের সঙ্গেই সুসম্পর্ক রাখতে চায়। তিনি বলেন, দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাই প্রথম লক্ষ্য। আমাদের স্বার্থ রক্ষাই হবে প্রথম কাজ। সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই। এমন সম্পর্ক চাই, যেখানে দুই পক্ষই লাভবান হবে। সুষম সম্পর্ক চাই।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় কিছু বললে পদক্ষেপে নেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের মানুষ যেন ভাবে ভারত আমাদের বন্ধু। এই কাজে দিল্লিও সহযোগিতা করবে ঢাকাকে।