প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজন মনে করলে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলেন তিনি এ কথা বলেন।
কোটা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরসহ কয়েকজন মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি ছিল। এ দাবীর কথা উল্লেখ করে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন- পরিস্থিতি যেখানে গিয়ে পৌঁছেছে, একটা ভালো পরিস্থিতি তৈরির জন্য হলেও আপনিসহ অন্যদের সেই ত্যাগ শিকারের (পদত্যাগের) সুযোগ আছে কি না; আপনারা মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন কি না?
এর জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রয়োজন হলে… এ রকম যদি কোন সিচুয়েশন আসে, প্রধানমন্ত্রী যদি মনে করেন…আমরা তো সব সময় দেশের জন্য কাজ করি। আমরা সেটা (পদত্যাগ) করবো, যদি প্রধানমন্ত্রী সেটা মনে করেন।’
মন্ত্রী আরও জানান, রোববার থেকে ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরে কারফিউ ১৫ ঘণ্টা শিথিল থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ অনির্দিষ্টকালের জন্য চার জেলায় কারফিউ সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, এখন চলছে শোকের মাস। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস। মাসটিকে শোকের মাস হিসেবে পালন করি। বঙ্গবন্ধু শাহাদতবরণ করার পর থেকে এটা চলছে।
জামায়াত-বিএনপি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দল দুটি সবসময় ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত ছিল। তারা দেশকে অকার্যকর করতে চায়। ছাত্রদের কাছে আহ্বান, তারা যাতে লেখাপড়ায় ফিরে যান। কারণ তাদের সব দাবি পূরণ করা হয়েছে। এরপরেও যদি তাদের কোনো দাবি থাকে তাহলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সবসময় খোলা আছে।