চট্টগ্রামে উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর বলেছেন
‘এই বাজেটে শিল্প কলকারখানার সার্বিক উন্নয়নের কোনো প্রতিফলন নেই। বাংলাদেশের আর এম জি সেক্টর একটি বিশাল বড় সেক্টর। সে হিসেবে তো আশা রাখা যায় যাতে এই কঠিন সময়ে এই সেক্টরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই বাজেট। কিন্তু এসবের বিন্দুমাত্র প্রতিফলন আমরা দেখি নি। আর এমন সরকার থেকে আর কিই বা আশা করা যায়? যারা টপ টু বটম একটা স্বৈরাচারী মাফিয়া রাষ্ট্রযন্ত্রের দ্বারা পরিচালিত। এই বাজেটে দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকট উত্তরণের কোনো দিকনির্দেশনা নেই। সাধারণ ও গরিব মানুষের জন্য কোনো সুখবর নেই। এটি বাস্তবতা বিবর্জিত, প্রতারণামূলক, লোক দেখানো বাজেট। বাজেটে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ও অর্থ পাচার প্রতিরোধে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। ক্ষমতার বলয়ের বাইরে সাধারণ মানুষের অনুকূলে এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে না। এটা গণবিরোধী বাজেট। ভোটার বিহীন দুর্নীতিবাজ সরকারের এই বাজেটে জনগণের সর্বস্ব লুটের পাকা বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এটা বর্তমান সরকারের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার লুটের লক্ষ্যে প্রণীত অর্থ লুটেরাদের বাজেট। এটা একটা অসম বাজেট। আড়াই লাখ কোটি টাকার এত বড় ঘাটতি বাজেট দিয়ে স্বপ্ন পূরণ করা সম্ভব নয়। যেসব খাত থেকে বাজেট পূরণ করার কথা বলা হচ্ছে, সেটা চ্যালেঞ্জিং। এই বাজেট মুখ থুবড়ে পড়তে বাধ্য।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সংসদে অর্থমন্ত্রীর ঘোষিত ২০২৪-২৫ বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার আলমগীর
তিনি আরো বলেন, ৭ লাখ ৯৭ কোটি টাকার এই বাজেটে রাজস্ব ও অন্যান্য খাত থেকে মোট আয় ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ২ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হচ্ছে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণ এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অনুদান চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এর বাইরে মূল সমস্যা হচ্ছে আইএমএফ কর্তৃক ঋণ প্রাপ্তির বিভিন্নমুখী চাপ এবং বিভিন্ন দেশি বিদেশি দেনা পরিশোধের চাপ।
বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কোনো পথরেখা না দিয়েই কিভাবে মূল্যস্ফীতির টার্গেট ঘোষণা করেছে তা বোধগম্য নয়। আমদানি, রপ্তানি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান প্রভৃতি সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো আলোচনা করলেই স্পষ্ট যে, প্রবৃদ্ধি অর্জন নিতান্তই কল্পনাপ্রসূত। যা কঠিন এবং অসম্ভব। জিডিপি ও রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা দৃশ্যমানভাবেই প্রতারণার শামিল।
মাফিয়া সরকারের আজকে যে বাজেট পাস হলো, এটি একটি গণবিমুখী টাউটদের বাজেট। এই বাজেট মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিসহ মানব উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা ও জনগণের পকেট কাটার বাজেট। এইধরনের বাজেটের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।