ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে নগর জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে সকাল ৬টা থেকে ৯টায় ১৩২ মিলিমিটার। এই তিন ঘণ্টার বৃষ্টিতে পুরো নগরী জলমগ্ন হয়ে পড়ে। সকল রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে। অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাকিদের অনেকেই কাজ না থাকলে ঘর থেকে বের হয়নি।
এদিকে ভারী বৃষ্টির কারণে নগরের বায়েজিদ চন্দ্রনগর এলাকায় নিমার্ণাধীন একটি মাদ্রাসার দেয়াল ধসে সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামে এক কারখানা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে হেঁটে তারাবন এলাকার কর্মস্থলে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাইফুল নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার ভগবতি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিংহ।
নগরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুড়তলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাঁকলিয়া, চান্দগাঁও, অলংকার, ওয়ার্লেস, জিইসি মোড়, হালিশহর কে ব্লক, এল ব্লক, নয়াবাজার, ফইল্যাতলী বাজার, ফিরোজশাহ কলোনী, হালিশহরসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল এলাকার বেশিরভাগ রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে ঢুকে গেছে পানি। পুরো এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উন্মুক্ত নালা ও ফুটপাতের ভাঙা স্ল্যাব পথচারীদের জন্য ঝুঁকি বাড়িয়েছে। নগরের উপকূলীয় এলাকা পতেঙ্গার আকমল আলী রোডের জেলেপাড়া পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে সেখানকার তিন শতাধিক পরিবার। সোমবার জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
এদিকে আজ সকাল থেকে টানা বৃষ্টির কারণে নগরের প্রধান প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন অলিগলি তলিয়ে যায়। চকবাজার ও কাপাসগোলা ও মুরাদপুর এবং সিডিএ এভিনিউ সড়ক এলাকার অনেক বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন নগরবাসী।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে নগরের ব্যস্ততম সড়কে যানবাহন চলাচলও কম দেখা গেছে। কয়েকটি রিকশা থাকলেও যাত্রীদের কাছ থেকে তারা দ্বিগুণ ভাড়া চাইছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। প্রসঙ্গত, এর আগে ৬ মে এক দফা জলাবদ্ধতায় ডুবেছিল চট্টগ্রাম নগর।